করোনায় অবরুদ্ধ ইটালি
১০ মার্চ ২০২০মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই অবরুদ্ধ অবস্থায় শেষ কবে হবে কেউ জানে না৷ ইটালিজুড়ে রাতভর লোকজন সুপারশপগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনেছে৷ আপাতত আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইটালিতে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে৷ তবে এই সময়ে সুপারশপ ও খাবারের দোকান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার৷ কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷
গত ৩১ জানুয়ারি ইটালির রোমে দুই চীনা পর্যটকের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়৷ তবে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত ইটালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজারের বেশি৷ মারা গেছেন ৪৬৩ জন৷ চীনের পর যা সর্বোচ্চ৷ ইটালিতে রোববার প্রায় ১০০ জন মারা গেছেন৷
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইটালির জনগণ কাজের জন্য বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না৷ সব ধরনের ভ্রমণ এবং জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ফুটবললীগ ‘সেরি আ‘ সহ সব খেলাধূলা বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ রেঁস্তরা, সিনেমা হল, থিয়েটার ও জাদুঘর৷
ইটালির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল৷ যা বাড়িয়ে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে৷
করোনার বিস্তার রোধে ইটালি সরকারের এই কড়াকড়ি ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও বলেছে, করোনা মহামারী আকার ধারণের ‘দ্বার প্রান্তে‘৷
‘‘আমরা ইটালি সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি৷ মূলত চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইটালি ও ইরান এই চার দেশে ৯৩ শতাংশের বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে৷ করোনা ভাইরাস হয়তো প্রথম মহামারী যেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি৷‘‘
তবে ডব্লিউএইচও স্বাগত জানালেও ইটালির কারাবন্দিরা সরকারের কড়াকড়ি মেনে নিতে পারেনি৷ গত রোববার সরকার দেশজুড়ে কারাগারগুলোতে দর্শণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷
ওই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অন্তত ২৩টি কারাগারে রীতিমত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে৷ দাঙ্গায় সাত বন্দি নিহত হন৷ একটি কারাগারে বন্দিরা এক কারারক্ষীকে জিম্মি করেন৷ দাঙ্গা হাঙ্গামার সুযোগ নিয়ে কয়েকজন বন্দি পালিয়েও গেছেন৷
এসএনএল/কেএম