করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে সাইকেল বিক্রির হিড়িক
২০ এপ্রিল ২০২০নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন এলাকার ৫১ বছর বয়সি শিল্পী জন ডনোহু মনে করেন, এখন গণপরিবহন নিরাপদ নয়, তাই একটি সাইকেল কিনেছেন তিনি৷
ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত শতকরা ০.৬ভাগ শ্রমিক সাইকেল চালিয়ে কাজে যেতেন৷ শহরাঞ্চলে এই হার ছিল আরো বেশি ৷
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিসটা-র সাম্প্রতিক এক জরিপে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষ কর্মস্থলে যান নিজের সাইকেলে আর বাইক শেয়ারিংয়ের সাহায্য নেন মাত্র ১ ভাগ মানুষ৷ তাছাড়া বিকল্প বাহন হিসেবে বড় শহরগুলোতে সাইকেলের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে ৷
মার্কিন সরকার সাইকেলকে অপরিহার্য বাহন মনে করছেন৷ এখন সবরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেক সাইকেলের দোকানই খোলা৷
ন্যাশনাল সাইকেল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিন-চতুর্থাংশ সাইকেল বিক্রি হয় বড় দোকানগুলোর মাধ্যমে ৷ সাইকেলের বড় চেইন শপগুলো এখন বন্ধ থাকলেও ওয়ালমার্টের মতো ডিপার্টমেন্ট স্টোরে এখন সবচেয়ে বেশি সাইকেল বিক্রি হচ্ছে৷
নিউইর্য়কের ব্রুকলিন এলাকার এক সাইকেল দোকানের মালিক জো নোসলা জানান, তার দোকানে আগে যেসব সাইকেলের মূল্য ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার, এখন গড় মূল্য কমে পাঁচশ থেকে আটশ ডলারে ঠেকেছে৷ কারণ, সাইকেল বিক্রি বেড়ে গেলেও অনেক খুচরা বিক্রেতারা সমস্যার সম্মুখীন৷
শুধু করোনা সংকটের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে সাইকেল চালানোর পরিকল্পনা করেই অ্যামেরিকানদের কেউ কেউ এখন সাইকেল কিনছেন৷ যেমন, বাল্টিমোরে ঘরবন্দি থাকায় কেইটলিন লী নিরাপদে যাতায়াত করার জন্য ৫৫০ ডলারে একটি সাইকেল কিনেছেন৷ তিনি সম্প্রতি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন ৷ তিনি জানান, সম্ভব হলে পরেও তিনি সাইকেলেই যাতায়াত করবেন৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, করোনা ভাইরাস কখনোই পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে না, তাইঅন্যান্য ভাইরাসের মতো কোভিড ১৯ -এর সাথেও আমাদের জীবনযাপন করা শিখতে হবে৷''
এনএস/এসিবি (রয়টার্স)
১৩ এপ্রিলের ছবিঘরটি দেখুন...