গায়ের জামা ছিড়ে 'মাস্ক' বানান তারা!
১৪ এপ্রিল ২০২০স্যান ডিয়েগোর ওটে মেসা ডিটেনশন সেন্টারে অভিবাসনপ্রত্যাশী এলসিকে (ছদ্মনাম) মাস্ক দিতে এসেছেন এক গার্ড৷তবে মাস্ক পেতে হলে একটা ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে৷ সেই ফর্মে লেখা আছে, ‘‘করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না৷’’ এলসি এবং ডিটেনশন সেন্টারে থাকা অন্য কয়েকজনের এই অভিযোগ অবশ্য কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে৷ কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু মাস্ক পরলে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচা যাবে না- এই সত্য মনে করিয়ে দিতেই ফর্মটিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে৷
এদিকে ওটে মেসা ডিটেনশন সেন্টারের ৭২ জন বন্দির মধ্যে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে৷মাত্র এক সপ্তাহে সংক্রমিতের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে ১২ হয়েছে৷
ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশী বন্দিদের মনে৷ ফর্ম পূরণ না করলে মাস্ক দেয়া হয় না৷ করোনার হাত থেকে বাঁচতে তাই টি-শার্ট ছিড়ে নাক-মুখ ঢাকছেন অনেকে৷
করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র৷ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে৷ মৃত্যুর মিছিল থামাতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ এক নির্দেশে বড় অপরাধ না করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে৷ সেই নির্দেশ অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৬০ জনকে ছাড়া হয়েছে৷ তবে এখনো ৩৩ হাজার ৮০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে৷
বেশিরভাগ ডিটেনশন সেন্টারেই মাস্ক, হাত ধোয়ার সুব্যবস্থা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপায় নেই৷
লুইজিয়ানায় ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে৷ ছয় হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক রাখা হয়েছে সেখানে৷ সেখানকার এক ডিটেনশন সেন্টারের পরিস্থিতি বোঝাতে ক্যামেরুন থেকে আসা একজন বলেছেন, ‘‘এখানে আমাদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব নেই৷ স্রেফ ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে আছি আমরা৷’’
অভিবাসন প্রত্যাশীদের আইনি সংস্থা আরএআইসিইএস অ্যাকশন গ্রুপের মাধ্যমে প্রকাশ করা ভিডিওতে হাউসটনের মন্টগোমারি প্রসেসিং সেন্টারের এক নারী অভিবাসন প্রত্যাশী বলেছেন, ‘‘অফিসারদের মাস্ক আছে, আমাদের নেই৷’’ আরেক নারী জানিয়েছেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানের জীবন নিয়ে তিনি চিন্তিত৷
এসিবি/কেএম (এপি)