1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ দিবস

১৭ জানুয়ারি ২০২০

কলকাতা বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ এবার বাংলাদেশ দিবস৷ বইমেলার শেষদিনে হবে এই বাংলাদেশ দিবস৷

https://p.dw.com/p/3WLe1
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

যদি লোক আসার হিসাব ধরা হয় তো কলকাতা বইমেলা বিশ্বের বৃহত্তম৷ গত বছর বইমেলায় পা রেখেছিলেন  ২৪ লাখ লোক৷ ২১ কোটি টাকার বই কেনাবেচা হয়েছিল৷ বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলায় এ বার শেষদিনে হবে বাংলাদেশ দিবস৷ কলকাতা বুক ফেয়ারের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ''আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর৷ বাংলাদেশ দিবসে সেই উপলক্ষে থাকবে বিশেষ আলোচনা৷''

কলকাতা বইমেলায় এ বার বাংলাদেশের বিপুল উপস্থিতি থাকবে৷ বইমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''একটা গোটা প্যাভিলিয়ন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকাশকদের জন্য৷ সেখানে ৩৮ থেকে ৪০টা স্টল হতে পারে৷ ফলে বাংলাদেশের বই প্রচুর পরিমাণে পেতে কোনও অসুবিধা হবে না৷''  

বাংলাদেশের বইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বইপ্রেমীদের একাংশ উন্মুখ হয়ে থাকেন৷ যেমন প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''বাংলাদেশে ভাষাচর্চা, বাংলা বানান, ব্যকরণ নিয়ে অসাধারণ কাজ হচ্ছে৷ আমাদের থেকে ওরা এ ব্যাপারে এগিয়ে আছে৷ কয়েক বছর আগে বাংলা শব্দের ব্যুৎপত্তি অভিধান বেরিয়েছিল৷ দুর্দান্ত কাজ৷ আমি তো বাংলাদেশের স্টলে গিয়ে এই ধরনের বই দেখা ও কেনার জন্য মুখিয়ে আছি৷''

এ বার বইমেলায় থিম কান্ট্রি হল রাশিয়া৷ ৪৪ বছরে এই প্রথম রাশিয়া থিম দেশ হচ্ছে৷ আর সেই উপলক্ষে রুশ সরকার একটা নতুন প্রকল্প চালু করেছেন৷ দিল্লিতে রুশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি টটোরভ জানিয়েছেন, রুশ বই এর বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে আবার তারা  সাহায্য করছেন৷ বইমেলায় এরকম কয়েকটি বই প্রকাশিত হবে৷ ভবিষ্যতেও তা চলবে৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে সে দেশের সাহিত্যের ঢালাও বাংলা অনুবাদ হত এবং সেগুলির মানও খুব ভালো ছিল৷ কিছুদিন বনধ থাকার পর আবার সেই অনুবাদ শুরু হবে, এটা নিঃসন্দেহে সুখবর৷

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি গৌতম হোড়৷
গৌতম হোড় ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷