কলেজ সার্ভিস কমিশনেও দুর্নীতির অভিযোগ
২৭ জুন ২০২২রোববার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে একদল চাকরিপ্রার্থী কলেজ সার্ভিস কমিশনের (সিএসসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন। তাদের অভিযোগ, এসএসসি-র মতো সিএসসি-তেও নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সিবিআই বিষয়টির তদন্ত করে দেখুক।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ যেমন এসএসসি-র মাধ্যমে হয়, তেমনই সরকারি কলেজের নিয়োগ হয় সিএসসি-র মাধ্যমে। অভিযোগ, সিএসসি-র নিয়োগে দালাল হিসেবে কাজ করেছে জনৈক 'ভূপেশ'। অর্থের বিনিময়ে অবৈধ উপায়ে সে কলেজে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এবং এর সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। অভিযোগকারীদের দাবি, এসএসসি-র মতো সিবিআই ডেকে এই বিষয়টির তদন্ত করানো হোক।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রেও এমনই এক দালালের নাম সামনে এসেছিল। অভিযোগ ছিল, জনৈক 'রঞ্জন' অবৈধ উপায়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করতো। সিএসসির ক্ষেত্রে নাম উঠে এল ভূপেশের। কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার রাজপথে আন্দোলন করছিলেন স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। তারা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বেশ কিছু নিয়োগ বাতিল করেছে। বেশ কিছু নতুন নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে। এবার সিএসসি আন্দোলনও সে পথে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বস্তুত, রোববার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলেজে চাকরিপ্রার্থীরা বৃহত্তর আন্দোলনের কথা বলে গেছেন।
২০১৮ সালে সিএসসি-র প্যানেলে নাম থাকা ব্যক্তিরা এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তাদের বক্তব্য, প্রভাবশালী ব্যক্তি, নেতা-মন্ত্রীদের আত্মীয়রাও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের রাজ্য সরকারের পরীক্ষা সেট পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভূপেশ অন্তত নয়জনকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ, যাদের মেধা তালিকাতেও নাম থাকার কথা নয়। চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনের আহ্বায়ক বিনয়কৃষ্ণ পাল ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''মূল কারচুপি হয়েছে ইন্টারভিউয়ে। সেখানে অনেক বেশি নম্বর দিয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।'' তার অভিযোগ, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের নম্বর, কোথায় চাকরি করছেন, কলেজে পড়ানোর যোগ্যতা আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। কিন্তু কমিশন এখনো পর্যন্ত তার করেনি।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)