1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাটালুনিয়ার নেতাদের উপর চাপ

৩ নভেম্বর ২০১৭

রাজ্য সরকার ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে আগাম নির্বাচন ডাকার পরও কাটালুনিয়ার সংকট কাটছে না৷ প্রাক্তন মন্ত্রিসভার কিছু সদস্যকে আটক করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কারলেস পুজেমনসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় সমন জারি করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2mwvs
মাদ্রিদে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বার্সেলোনায় বিক্ষোভ
ছবি: Reuters/J. Medina

কার্যতদেশ থেকে পালিয়ে বেলজিয়াম চলে গেছেন কাটালুনিয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পুজেমন৷ সঙ্গে ৪ জন মন্ত্রী৷ সেখানে গিয়ে এক আইনজীবী নিয়োগ করে স্পেনের আইন এড়িয়ে চলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি৷ এবার স্পেনের কর্তৃপক্ষ পুজেমন ও ৪ প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় সমন জারি করে তাদের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করলো৷ এবার বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷ আপত্তির কোনো কারণ না দেখলে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ করতে হবে৷ পুজেমনের আইনজীবী তেমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

কাটালুনিয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে স্পেনের আদালতে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদোহ ও সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগআনা হয়েছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ বিচারপতি কারমেন লামেলা আদালতে অভিযুক্তদের হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ কাটালুনিয়ার প্রাক্তন প্রশাসনের ৮ সদস্যকে এর মধ্যেই মামলার স্বার্থে আটক করা হয়েছে৷ তাঁদের জামিনের আবেদন করার উপায় নেই৷ নবম সদস্য ৫০,০০০ ইউরো জমা রেখে জামিন পেয়েছেন৷ উল্লেখ্য, মোট ২০ জনকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

দেশ ছেড়ে চলে গেলেও কাটালুনিয়ায় পুজেমনের এখনো কিছু প্রভাব রয়েছে৷ টিভিথ্রি চ্যানেলে তিনি এক বার্তায় তাঁর প্রশাসনের ৮ সদস্যের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন৷ আসন্ন দীর্ঘ ‘নিপীড়ন'-এর বিরুদ্ধে তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন৷ তিনি আরও বলেন, পুরোটাই বড় এক ভুল এবং গণতন্ত্রের উপর বিশাল আঘাত আনা হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার বার্সেলোনা শহরে হাজার হাজার মানুষ প্রাক্তন মন্ত্রীদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ এমনকি স্বাধীনতাবিরোধী মহলও এমন ‘প্রতিশোধমূলক' পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোইয়ের এমন কড়া নীতির বিরুদ্ধে অনেকে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন৷ কাটালুনিয়ার বর্তমান সংকটের জন্য যারা দুই পক্ষকেই দায়ী করছেন, তাঁদের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একতরফা শাস্তির প্রচেষ্টা অন্যায় বলে মনে হচ্ছে৷

অন্যরা অবশ্য দেশের আইন ভেঙে একের পর এক পদক্ষেপের জন্য পুজেমন ও তাঁর মন্ত্রীদের দায়ী করছেন৷ বেলজিয়ামে পালিয়ে যাবার কারণেও তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য