কাবুলের নতুন বিপদ আইএস
৩ জানুয়ারি ২০১৬নাঙ্গারহার প্রদেশের আচিন জেলা, পাকিস্তানের উপজাতিক এলাকাগুলির লাগোয়া৷ আচিন জেলার অবস্থা এখন সিরিয়া ও ইরাকের আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলির মতো৷ এখানে শুনতে পাওয়া যাবে বিদ্রোহীদের ‘খেলাফত রেডিও'৷
‘‘আমি সব মুসলমানদের প্রতি আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি বিশ্বস্ততার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি'', বেতারে ডাক দিচ্ছেন এক বক্তা৷ অন্যদিকে আচিন-এর বাসিন্দারা ভীত-সন্ত্রস্ত, কেননা আইএস এখন খোলাখুলি ভয় দেখাতে পারছে৷ এমনকি সরকারও এই খেলাফত রেডিও-র এফএম ফ্রিকোয়েন্সি বন্ধ করতে পারেননি৷
স্থানীয় প্রতিরোধ
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস যোদ্ধারা তাদের মতাদর্শের বিরোধী সকলকে হত্যা করছে, বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁদের মতে, আইসিস সদস্যরা তালেবান বা অন্য যে কোনো গোষ্ঠীর চেয়ে বেশি নির্মম৷ আইএস যোদ্ধারা একটি গ্রামের দখল নেবার পরে সরকার সমর্থকদের হত্যা করতে শুরু করে, কিছু তালেবানও বাদ যায়নি, বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা৷ ফলে তালেবান জঙ্গিরা পালাতে বাধ্য হয়৷
আফগান সংসদের প্রথম সহকারী অধ্যক্ষ জাহির কাদির গত সেপ্টেম্বর মাসেই সাবধান করে দেন যে, নাঙ্গারহার একটি আইএস বা আইসিস ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে৷ এমনকি তিনি হুমকি দেন যে, সরকার এ বিষয়ে কিছু না করলে, ‘‘আমরা নিজেরাই জনতার সাহায্য নিয়ে ওদের (আইসিস-এর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব''৷
নাঙ্গাহার এলাকায় একটি সরকারি সামরিক অভিযান ব্যর্থ হবার পর জাহির কাদির-এর প্রতি বিশ্বস্ত সশস্ত্র যোদ্ধারা আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে ও গত সপ্তাহে চারজন আইসিস সদস্যের শিরশ্ছেদ করে৷ এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘ওরা আমাদের মুণ্ডু কাটলে, আমরাই বা ওদের মুণ্ডু কাটব না কেন?''
‘আইসিস গোটা এলাকার পক্ষে বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে'
আফগানিস্তানে আইসিস-এর উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পাওয়া যাচ্ছে ২০১৫ সালের সূচনা থেকেই৷ দৃশ্যত সরকার এই বিপদকে সঠিক গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ অপরদিকে গত জুলাই মাসে মোল্লা ওমর-এর মৃত্যু ঘোষিত হবার পর থেকে তালেবান গোষ্ঠী শতধাবিভক্ত৷ এই পরিস্থিতিতে আইএস কাবুল সরকারের পক্ষে একটি আন্তরিক বিপদ হয়ে উঠতে পারে, বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷
বন্ধুরা, আপনার কী মনে হয়? তালেবান আর আইএস কি শত্রুতে পরিণত হচ্ছে? জানান নীচের ঘরে৷