1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিয়োটো প্রোটোকল

১৭ জুলাই ২০১২

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু বিষয়ক বৈঠকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এছাড়া স্বল্পমেয়াদের জন্য কিয়োটো প্রোটোকল নবায়নের প্রস্তাব দিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/15Yys
German Chancellor Angela Merkel gestures during her speech at the third Petersberg Climate Dialogue in Berlin, Germany, Monday, July 16, 2012. Politicians and environmental experts from over 30 countries meet to prepare the UN climate conference in Doha later this year. (Foto:Gero Breloer/AP/dapd)
ছবি: dapd

জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের অংশগ্রহণে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনগুলোতে একক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ নানা মত ও পথে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সদস্য দেশগুলো৷ তাই বাছাইকৃত ৩৫টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হলো বার্লিনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু বিষয়ক বৈঠকে৷ এই বৈঠকে জার্মানির সাবেক পরিবেশমন্ত্রী এবং বিজ্ঞানী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাধ্যতামূলকভাবে কার্বন নির্গমনের হার কমাতে সবাই এগিয়ে না আসলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে৷ আর সেক্ষেত্রে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার দুই ডিগ্রির মাঝে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব নয়৷

২০০৬ সালে ব্রিটিশ সরকারের জন্য প্রণীত ‘স্টার্ন রিভিউ' শীর্ষক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘সময় পার করার জন্য খেলার চেষ্টা করে লাভজনক কিছু পাওয়া সম্ভব নয়৷ ‘স্টার্ন রিভিউ' ইতিমধ্যে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে আমাদের কী ধরণের সাংঘাতিক ফল ভোগ করতে হবে৷''

চলতি বছরের শেষদিকে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে স্বল্পমেয়াদের জন্য কিয়োটো প্রোটোকল নবায়নের আহ্বান জানান ম্যার্কেল৷ উল্লেখ্য, এ বছরই শেষ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের একমাত্র জলবায়ু চুক্তি কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ৷

কিয়োটো প্রোটোকল পরবর্তী সময়ের করণীয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর, জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহ ২০১৫ সাল নাগাদ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করার কথা ভাবছে৷ আর সেই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২০ সাল নাগাদ৷

এদিকে, জাতিসংঘের প্রচেষ্টার বাইরে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য ‘পেটার্সব্যার্গ জলবায়ু সংলাপ' নামে একটি পৃথক ক্ষেত্র তৈরি করেছে জার্মানি৷ এই সংলাপের আওতায় যে ৩৫টি দেশ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীন এবং অ্যামেরিকাও রয়েছে৷ এছাড়া বার্লিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২০১২ সালের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল-আত্তিয়াহ৷ তিনি বলেন, কাতার নিজের দেশের কার্বন নির্গমনের হার কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া, কাতার আরো দক্ষতার সাথে সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে জ্বালানির ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য উৎস থেকে জ্বালানি উৎপাদনের চেষ্টা করবে বলেও উল্লেখ করেন আল-আত্তিয়াহ৷

এএইচ / ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য