‘‘কেন বিলম্বিত এ বিচার’’
২১ আগস্ট ২০১৪সামহয়্যার ইন ব্লগে আহমেদ রশীদ সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন৷ সেই সাথে লিখেছেন,‘‘পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী হামলায় ব্যবহৃত আরজেস গ্রেনেডগুলো সামরিক অস্ত্রাগারের গ্রেনেডের মতো ছিল৷ এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ কিভাবে সংগ্রহ করলো তা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি৷ সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার একটি গ্রেনেড পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে, ময়লার ভেতর৷ তাহলে কি কারাগারের বন্দিদের এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল? পরদিন অজ্ঞাত সংখ্যক আসামী কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যায়৷ এ সবেরও তদন্ত হয়নি৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘তদন্তকারীরা নিরুপায় হয়ে আবার হয়ত কোনো জজ মিয়া নিয়ে আসবে৷ এদের পেছনে দৌড়ে কোনো লাভ নেই, এরা টাকার বিনিময়ে কাজ করছে, জেল থেকে মুক্ত হয়েছে৷''
‘‘আমার নিজ ধারণা এ সব হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছিল তৎকালিন বিএনপি-জামাতের একটি উগ্র ডানপন্থি গ্রুপ, যারা দলের হাইকমান্ড ও চেয়ারপারসনকে অন্ধকারে রেখে একটি নৃশংস হত্যা পরিকল্পনা শুরু করে, টার্গেট ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষকে মেধা শুন্য ও নেতৃত্বশুন্য করে ফেলা৷ হত্যায় নিযুক্ত করা হয় জেহাদি চেতনায় উজ্জীবিত হুজি সদস্যদের৷''
মোরতাজা বর্তমান সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘মহাজোট সরকার আপনাদেরও প্রায় ৬ বছরের ক্ষমতা পূর্ণ হবার পথে৷ বিচারের জন্য প্রায় ৫'শ সাক্ষীর মধ্যে শ'খানেক সাক্ষ্য দিয়েছে বলে খবরে দেখলাম৷ বাকিরা কই? কেনই বা বিলম্বিত হচ্ছে এ বিচার কার্যক্রম! ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এ হত্যাযজ্ঞ আর নারকীয় তাণ্ডবের বিচার দেখার অপেক্ষায় আছি৷ ২১ আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা, হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনাকারীদের প্রতি ঘৃণা আহতদের প্রতি সহানুভূতি-বিচার বিলম্ব করার চেষ্টা কারীদের জন্য করুণা৷
সামহয়্যার ইন ব্লগে মাহবুবুল আলম লিখেছেন, ‘‘হাওয়া ভবনে শেখ হাসিনা কিলিং মিশনের যে বৈঠক হয়েছিল মুফতি হান্নানের সেই বিষয়ক সাক্ষাৎকারটি ওয়েবসাইটে দেখলে যে কেউ আতঙ্কে শিউরে ওঠবেন৷ প্রখ্যাত সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের ‘প্রোর্ট্রেট অফ জিহাদ' প্রমাণ্য চিত্রে মুফতি হান্নানের এ লোমহর্ষক সাক্ষাৎকারটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ ঐ সাক্ষাৎকারে মুফতি হান্নান শেখ হাসিনার কিলিং মিশনের গ্রেনেড হামলার আদ্যপান্ত বর্ণনা করেছেন৷ ঐ জবানবন্দিতে হান্নান ফাঁস করে দেয় এই হামলায় হাওয়া ভবনের সংশ্লিষ্টতার কথা৷ বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার জবানবন্দিমূলক সাক্ষাতকারে মুফতি হান্নান বলেন, হাসিনাকে শেষ করে দিতে হবে৷ তাকে কোনোদিনই রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘বিভিন্ন পত্রিকা ও গোয়েন্দাসূত্রে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিশেষ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত নারকীয় এ হামলার বিষয়টি পুরোপুরিই মনিটর করেছিল হাওয়া ভবন৷ এই মনিটরিং-এর ধারাবাহিকতায় ও হাওয়া ভবনের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান থেকে শতাধিক আরজেস গ্রেনেড আনার কাজে সহায়তা করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই৷''
মাহবুবুল আলম আরো লিখেছেন, ‘‘বর্তমানে ২১ আগস্ট লোমহর্ষক গ্রেনেডহামলার বিচারিক কাজ চলছে৷ আশা করা যায়, অতি দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এবং ২১ আগস্ট পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা মামলা রায় বাস্তবায়ন করে বুঝিয়ে দিতে হবে ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাস কোনো দিন ক্ষমা করেনি, কোনো দিন ক্ষমা করবেও না৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ