বিমান যখন ‘নিখোঁজ' হয়
১৩ মার্চ ২০১৪বোয়িং ৭৭৭ বিমানের পাখার দৈর্ঘই হলো ৬০ মিটার! এতবড় একটা প্লেন হঠাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে, রাডার স্ক্রিন থেকে উপে যেতে পারে কী করে? অপরদিকে উধাও হবার মানেই যে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া, এ কথা বিশ্বাস করেন না জার্মানির বিমানচালক ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারদের সমিতি ‘ককপিট'-এর প্রতিনিধি ইয়র্গ হান্ডভেগ৷ তবে কিছুদিন পরই সেই বিমান কোথাও না কোথাও আবার ভসে উঠবে বলে তাঁর বিশ্বাস৷
রাডার থেকে অন্তর্ধানের রহস্যও ব্যক্ত করলেন হান্ডভেগ: সাগরবক্ষে কোনো রাডার কেন্দ্র নেই, কেননা রাডরের রেঞ্জ নিয়ে আজও সমস্যা আছে৷ নয়ত ভূপৃষ্ঠের রাডার কেন্দ্রগুলি থেকে যে সংকেত পাঠানো হয়, তা বিমানে প্রতিফলিত হয়ে আবার রাডারে ফিরে আসে এবং সেখানে গৃহীত ও নথিভুক্ত হয়৷ কাজেই বিমানগুলি খোলা সমুদ্রে গেলেই, সেগুলি রাডার থেকে হারিয়ে যায়৷ ‘‘আবার উপকূলের কাছে এলে তবে সেগুলোর আবার খোঁজ পাওয়া যায়,'' জানালেন হান্ডভেগ৷
তবে বিমান দশ হাজার মিটার উচ্চতায় গেলেই তা আবার ‘দৃষ্টিগোচর' হয়ে পড়ে, কেননা এবার তার বেতার সংকেত ভূপৃষ্ঠে ধরা পড়তে থাকে৷ বৈমানিকরা নিয়মিতভাবে ভূপৃষ্ঠে ফ্লাইট ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন৷ বিমান সাধারণত চলেও বাঁধা পথ ধরে, যেন অন্তরীক্ষে অদৃশ্য মোটরওয়ে! সেই নির্দিষ্ট বায়ুপথে কতগুলো নির্দিষ্ট বিন্দু আছে, মাইলফলকের মতো, যা থেকে ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারকে খবর দেওয়া যায়৷
বিমান দুর্ঘটনায় ভূপাতিত হলে রাডার কিংবা বেতার, দু'টোর কোনোটাই কাজ করবে না৷ কিন্তু বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স' ঠিকই সিগনাল পাঠিয়ে যাবে, যদিও সাগরগর্ভে সেই সিগনাল খুবই দুর্বল হবে৷ সেক্ষেত্রে সাগরবক্ষ থেকে ‘সোনার' শব্দতরঙ্গ পাঠিয়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বার করতে হবে৷ কিন্তু ‘সোনার' প্রযুক্তি কাজে লাগাবার আগে মোটামুটি জানা থাকা চাই, বিমানটি ঠিক কোনখানে সাগরে পতিত হয়েছে৷ সে তুলনায় রাডার কিংবা বেতারের পরিধি স্বভাবতই অনেক বেশি৷