মালয়েশীয় জেট নিয়ে বিভ্রান্তি
১২ মার্চ ২০১৪পুরো ঘটনাটা একটা রহস্য৷ অথচ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে বোয়িং ৭৭৭-২০০ বিমানটির নিখোঁজ হওয়াটা একটা নির্মম ও বাস্তব সত্য৷ খোঁজ চলেছে থাই উপসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছের জলধি অবধি৷ ১২টি দেশের ডজন-ডজন জাহাজ, প্লেন ও হেলিকপ্টার সেই খোঁজে সংশ্লিষ্ট৷ অথচ নিখোঁজ বিমানের কোনো হদিশই নেই৷
মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে এই দুর্ঘটনার জনসংযোগের দিকটা সামলাচ্ছেন, তা-তে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ তার সর্বশেষ প্রমাণ: মালয়েশিয়ার মিলিটারি জানিয়েছে যে, বিমানটি তার উড়ালের পথ থেকে হঠাৎ পশ্চিমে মোড় নিয়ে থাকতে পারে৷ মিলিটারি রাডারে বিমানটিকে যদি সত্যিই দেখা গিয়ে থাকে, তাহলে তার নিখোঁজ হওয়ার কারণ বিস্ফোরণ কিংবা সন্ত্রাস কিংবা যান্ত্রিক গোলযোগ হতে পারে না – কেননা বিমানটির সঙ্গে শেষ বেতার সংযোগ ঘটে মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলের শহর কোটা ভারু এবং ভিয়েতনামের উপকূলের ঠিক মাঝামাঝি; অথচ মিলিটারি রাডারে বিমানটি যেখানে ধরা পড়েছে, সেই স্থানটি এর ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷ অর্থাৎ বিমানটি নিখোঁজ হবার পরেও এই ৫০০ কিলোমিটার উড়ে যাবার মতো অবস্থায় ছিল৷
এই আকার ও আয়তনের একটি যাত্রীবাহী বিমান সাগরে ভেঙে পড়লে তার কোনো অবশেষ কিংবা কোনো চিহ্নই যে পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যাবে না, সোটা অসম্ভব৷ তাহলে কি এবার স্থলভূমিতেও বিমানটির খোঁজ করার সময় এসেছে? ভিয়েতনাম কিংবা চীন কিন্তু এখনও তা করার কথা ভাবছে না৷ অপরদিকে বিমানটির সহকারী বিমানচালক যে অতীতে মহিলা যাত্রীদের ককপিটে নিয়ে গেছেন, তা থেকেও বিমানটির অন্তর্ধানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না৷
সবশেষে বলা দরকার: যে সব বাণিজ্যিক বিমান আজ আকাশে ওড়ে, তাদের মধ্যে বোয়িং ৭৭৭ বিশেষভাবে নিরাপদ বলে পরিচিত৷ কাজেই ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর ভাগ্যে সত্যিই কী ঘটেছে, তা জানার জন্য বিশ্বকে – বিশেষ করে নিখোঁজ যাত্রী ও ক্রু-র আত্মীয়স্বজনদের আরো অপেক্ষা করতে হবে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)