কোভিড অ্যাপের তথ্য নিয়ে তদন্ত, বিতর্কে জার্মান পুলিশ
১২ জানুয়ারি ২০২২এই ঘটনার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাহায্যে লুকা অ্যাপ থেকে তথ্য নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ওই রেস্তোরাঁয় কতক্ষণ কোন ব্যক্তি ছিলেন, অ্যাপ থেকেই তা জানা গিয়েছিল। অ্যাপ থেকে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে ২১ জন সাক্ষীর কথাও জানা যায়। অভিযোগ বেআইনিভাবে অ্যাপ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এরপর শুরু হয় প্রতিবাদ। মাইন্সের সরকারি আইনজীবী একটি বিবৃতিতে জানান, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আর কোনও তথ্য এই অ্যাপ থেকে ব্যবহার করা হবে না।
কিন্তু এই লুকা অ্যাপ কাজ করে কীভাবে?
এক ব্যক্তি কতক্ষণ রেস্তোরাঁ, পানশালায় থাকছেন কিংবা সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত থাকছেন সেটা এই অ্যাপ থেকে জানা সম্ভব। ব্যক্তিগত তথ্য জানা সম্ভব। রেস্তোরাঁ কিংবা দোকানে প্রবেশের সময় কিউ আর কোড স্ক্যান করতে হয়। বেরোনোর সময় লগ আউট করতে হয়। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে সহজেই শনাক্ত করা যায়।
এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে নথির ব্যবহার কমে যাওয়া সহ একাধিক সুবিধা হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখলে এই জাতীয় বিষয়ের সমাধান সম্ভব। ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষাও সম্ভব মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু মেইনজের ঘটনার পর খানিকটা বিরক্ত হয়েছেন এই অ্যাপ ডেভেলপার কালচার ফর লাইফ।
তথ্য সংগ্রহের তীব্র নিন্দা করেছে অ্যাপ ডেভেলপার সংস্থা। ডিজিটাল অ্যাপকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সরকারের শরিক দলের সদস্যরাও। এই রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ অ্যাপ ডিলিটের কথাও উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, অ্যাপ ডিলিটের বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন এক জার্মান শিল্পী যিনি নিজে এই প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত।
এই জাতীয় অ্যাপ ব্যবহার, আদৌ কতটা সুরক্ষিত? ব্যক্তিগত তথ্যের অধিকারে কতটা হস্তক্ষেপ হচ্ছে, উঠে আসছে এইসব প্রশ্ন।
২০২০ সালের ছবিঘরটি দেখুন
আরকেসি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)