‘তামিমের জঙ্গিদের সঙ্গে মেলামেশা ছিল’
২৯ আগস্ট ২০১৬ঐ গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা ক্যানাডার বাইরে অন্তত দুটি বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে৷ এসব হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷
২০০৯ সালে ক্যানাডার উইন্ডসোর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুই সপ্তাহব্যাপী একটি কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন তামিম৷ কোর্সের বিষয় ছিল ইসলাম৷ প্রশিক্ষক ছিলেন ইমাম নেভাইদ আজিজ৷ গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে তিনি বলেন, ‘‘আমি তামিমকে ভালো বলেই জানতাম৷ নেতৃত্ব দেয়ার মতো মানুষ মনে হয়নি তাকে৷ সে সবসময় পেছনে বসতে পছন্দ করতো৷'' সে সময় জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কোনো চিহ্ন তামিমের মধ্যে দেখতে পাননি বলে জানিয়ে আজিজ বলেন, একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে তামিমকে ভবিষ্যতে দেখতে হতে পারে এমনটা তিনি কোনোদিন ভাবেননি৷
২০১২ সালে ক্যানাডার আরেক শহর ক্যালগেরির ‘ইসলামিক ইনফরমেশন সোসাইটি'তে চাকরি নেন ইমাম আজিজ৷ একদিন জুমার নামাজের খুতবা শেষে তামিমকে সেখানে দেখতে পেয়ে অবাক হয়েছিলেন তিনি৷ তবে তামিম তাঁকে (ইমাম আজিজ) না চেনার ভাব করেছিল বলে জানান আজিজ৷ সেই সময় তামিমের সঙ্গে ছিল ডেমিয়ান ক্লেয়ারমন্ট – ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ক্যানাডীয় এই নাগরিক পরবর্তীতে দুর্ধর্ষ জঙ্গি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল৷ ক্যানাডার বাইরে এক অভিযানে সে নিহত হয়৷
উল্লেখ্য, ইমাম আজিজ বর্তমানে ক্যালগেরিতে মৌলবাদের প্রসার ঠেকাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন৷
গ্লোব অ্যান্ড মেইল-এর প্রতিবেদন বলছে, তামিম ও ক্লেয়ারমন্ট ক্যালগেরির যে গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিল সেখানকার আরেক সদস্য ক্যানাডীয় নাগরিক সালমান আশরাফি ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল৷ এতে ৪৬ জন নিহত হন৷ আরেক সদস্য ক্যানাডীয় ফারাহ মোহামেদ শিরডন ২০১৪ সালে সিরিয়া থেকে এক প্রচারিত এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নিজেকে আইএস যোদ্ধা বলে পরিচিতি দেন৷ কোনো এক সময় হোয়াইট হাউসের ময়দানে আইএস-এর কালো পতাকা ওড়ানো হবে বলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন৷ এরপর শিরডন তার ক্যানাডীয় পাসপোর্ট আগুনে ছুড়ে ফেলেছিলেন৷
তামিমদের গোষ্ঠীর আরও দুই সদস্য কলিন ও গ্রেগরি গর্ডন ইসলামিক স্টেট-এর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে ২০১৪ সালে প্রাণ হারান৷
জেডএইচ/ডিজি (গ্লোব অ্যান্ড মেইল)