ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সামনে অগ্নিপরীক্ষা
১ মে ২০১২ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মুকুটে কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার পালকটি নেই৷ অথচ বিশ্বকাপ সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় তাঁকে দেখা গেছে মাঠে এবং প্রতিবারই তিনি তার দেশ এবং ফ্যানদের হতাশ করেছেন৷
২৭ বছর বয়সী রোনাল্ডো কেমন খেলবেন ইউরো কাপ ২০১২ তে? অনেকেই সেদিকে তাকিয়ে আছেন৷ যা তিনি এতদিন অর্জন করতে পারেননি, ট্রফি – সেই চেষ্টা তাকে আবারো করতে হবে৷
তবে এক্ষেত্রে শুধু রোনাল্ডো একা নন৷ আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসিও বার্সেলোনায় খুব ভাল খেলেননি৷ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনি হতাশ করেছেন ফুটবল বিশ্বকে৷ মেসির ব্যর্থতা নিয়েও সরব ছিল প্রচার মাধ্যমগুলো৷
ফিরে যাচ্ছি রোনাল্ডো প্রসঙ্গে৷ ২০০৪ সালের ইউরো কাপে গ্রিসে লুইস ফিগো এবং রুই কস্তার পাশাপাশি বল নিয়ে সমানে দৌড়েছেন রোনাল্ডো, কিন্তু গোটা ইউরোপকে অবাক করে দিয়ে গ্রিস জিতে নিয়েছিল সেই বছরের ইউরো কাপ৷ রোনাল্ডোর বয়স তখন কম৷ তিনি মাঠে কেঁদেছিলেন৷ সেই চিত্র অনেকেই ভুলতে পারেননি৷ মাত্র দুটো গোল করেছিলেন ইউরো ২০০৪ -এ৷ এটাকে তিনি ব্যক্তিগত ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন৷ কারণ ২০০৮ সালের ইউরো কাপে গোটা টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র একটি গোল করেছিলেন, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপেও তিনি একটি গোল করেছিলেন এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালের বিশ্বকাপে৷
রোনাল্ডোর সমালোচকরা বেশ জোর দিয়েই এ কারণে বলেছেন যে , রোনাল্ডো কখনোই পেলে, মারাদোনা বা ইউসেবিওর সমকক্ষ হতে পারবেন না৷ কারণ এই তুখোড় ফুটবলাররা চমক দেখিয়েছিলেন বিশ্বকাপে৷ অন্তত দুজন জিতে নিয়েছিলেন শিরোপা৷
তবে সমবেদনাও পাচ্ছেন রোনাল্ডো৷ রেয়াল মাদ্রিদ এবং পর্তুগালের খেলোয়াড় পেপে জানিয়েছে, ‘‘মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকেই ক্রিস্টিয়ানোর ওপর অনেক বেশি দায়িত্ব বর্তানো হয়৷ প্রচণ্ড চাপ নিয়ে সে মাঠে খেলে৷ সবারই রয়েছে অনেক বেশি প্রত্যাশা৷ আমাদের উচিত ক্রিস্টিয়ানোকে উৎসাহিত করা, সহযোগিতা করা – কোন অবস্থাতেই দোষারোপ করা নয়৷ তাহলে ক্রিস্টিয়ানো ভালো খেলতে পারবে৷''
ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ২০০৮ সালে ফিফা প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার হন, দুবার জেতেন ইউরোপীয় ‘গোল্ডেন বুট' ট্রফি৷ গত সিজনে তিনি দলের হয়ে করেছেন ৪০টি গোল৷ এই সিজনে আরো তিনটি গোল করে মেসির সমকক্ষ হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার (রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন