1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্র্যামাতোর্স্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১

২৯ জুন ২০২৩

রাশিয়ার মিসাইল একটি রেস্তোরাঁয় আঘাত করেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। ক্রেমলিনের অস্বীকার।

https://p.dw.com/p/4TC2E
ইউক্রেন
ছবি: Narciso Contreras/AA/picture alliance

মঙ্গলবার পূর্ব ইউক্রেনের ক্র্যামাতোর্স্কে মিসাইল আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই রাতেই দৈনিক ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, বেসামরিক কাঠামোয় আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার মিসাইল একটি রেস্তোঁরা ধ্বংস করে দিয়েছে। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে।

বস্তুত, বুধবার রাতে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে একের পর এক মৃতদেহ বার করে আনা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। যে সময় মিসাইলটি আঘাত করে, তখন রেস্তোঁরার ভিতরে অনেকে বসেছিলেন। ঘটনায় ১১ বছরের দুই যমজ বোন নিহত হয়েছে। আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা গেছে।

জেলেনস্কি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ফের রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলে অভিহিত করেছেন। তবে ক্রেমলিন এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের বক্তব্য, তারা ইউক্রেনের কোথাও বেসামরিক কাঠামোয় হামলা চালায়নি। কেবলমাত্র সামরিক কাঠামো লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবের ছবি তেমনটা নয়। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোঁরাটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।

শলৎসের বক্তব্য

ভাগনার সেনা বিদ্রোহ নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। তিনি বলেছেন, ভাগনার বিদ্রোহ রাশিয়ার শক্তি কমিয়ে দিয়েছে। যে শক্তি নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল, সেই শক্তি এখন আর তাদের নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বিষয়টি ভালোই বুঝতে পারছেন বলে অভিমত শলৎসের। শুধু তাই নয়, শলৎস বলেছেন, রাশিয়া একটি শক্তিশালী বড় রাষ্ট্র। পুটিন কার্যত একনায়কের মতো সেখানে শাসন করেন। ভাগনার বিদ্রোহ প্রমাণ করে দিল, পুটিনকেও চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব। এই বিষয়টি পুটিনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। পুটিনের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন শলৎস।

ওয়াশিংটনে বৈঠক

এদিকে ওয়াশিংটনে পৌঁছে গেছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। বৃহস্পতিবার তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে দুই মন্ত্রীর কথা হওয়ার কথা। কয়েকদিনের মধ্যেই লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর সম্মেলন হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতি বৈঠক হিসেবেই দেখা হচ্ছে পিস্টোরিয়ার অ্যামেরিকা সফর।

জেলেনস্কির বক্তব্য

জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধ শেষ হলেই ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করে নিতে হবে। এবিষয়ে ন্যাটোর আসন্ন বৈঠকে যাতে আলোচনা হয়, তার দাবি তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, দেশের জাতীয় অস্ত্র কারখানার প্রধানকে বরখাস্ত করার পর জেলেনস্কির নির্দেশ-- সমস্ত অস্ত্র যাতে ইউক্রেনে তৈরি হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)