‘গোটা কার্যকাল ধরেই দায়িত্বে থাকবো’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮কার্যনির্বাহী জার্মান চ্যান্সেলর ও সিডিইউ দলের শীর্ষ নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজের শিবিরে চাপের মুখে পড়েও স্থিতিশীলতার বার্তা দিয়ে চলেছেন৷ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি অবিচল ভঙ্গিতে বলেন, জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি তা পালন করার চেষ্টা করবেন৷ অর্থাৎ, নতুন মহাজোট সরকার গঠিত হলে তিনি চ্যান্সেলর হিসেবে ৪ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবেন৷ তিনি আশা করেন, দেশে দ্রুত এক স্থিতিশীল সরকার গঠনের লক্ষ্যে এসপিডি সদস্যরা কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষেই ভোট দেবেন৷
উল্লেখ্য, এসিপিডি দলের সঙ্গে দর কষাকষির সময়ে যথেষ্ট সংখ্যক মন্ত্রীর পদ আদায় করতে না পেরে ম্যার্কেল দলের একাংশের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ বিশেষ করে অর্থ মন্ত্রণালয় হারানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে৷ ম্যার্কেল অবশ্য বলেন, কোয়ালিশন চুক্তির মধ্যে সিডিইউ দলের নীতির যথেষ্ট মাত্রায় প্রতিফলন ঘটেছে৷ সেই নীতি কার্যকর করার কাজ যে দলের মন্ত্রীই করুন না কেন, তাতে কিছু এসে যায় না৷ তবে ম্যার্কেল স্বীকার করেন যে, স্থিতিশীল সরকার গড়ার লক্ষ্যে তাঁকে অবশ্যই কষ্টকর ছাড় দিতে হয়েছে৷ ২৬শে ফেব্রুয়ারি দলীয় সম্মেলনের আগেই ম্যার্কেল সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করতে চান৷ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়ালিশন চুক্তি অনুমোদন করা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
এদিকে জার্মানির প্রস্তাবিত মহাজোট সরকারের প্রতি দলের সদস্যদের সমর্থন আদায় করতে পথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এসপিডি নেতারা৷ আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি হামবুর্গ শহরে কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষে প্রচার শুরু করবেন তাঁরা৷ শীর্ষ নেতা ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্টিন শুলৎস দলের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর যে নতুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, ভোটাভুটির উপর তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ শুলৎস নিজে এখনো সেই প্রচার অভিযানের অংশ হবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে৷
২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত এসপিডি দলের ৪৬৩,৭২৩ জন সদস্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন৷ তারপরই জানা যাবে, জার্মানিতে দ্রুত মহাজোট সরকার গঠিত হচ্ছে কিনা৷
এসপিডি দলের নেতৃত্বে অরাজকতার ছায়া দূর করতে সম্ভবত মঙ্গলবারই দলের নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস-এর নাম কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে৷ তবে সেই প্রক্রিয়া নিয়েও বিতর্ক দেখা দিচ্ছে৷ দলের একটা অংশ সরাসরি সদস্যদের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে৷ তবে অন্য একটি অংশের মতে, এত দ্রুত এমন পরিবর্তনের বদলে দলের সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে এক দলীয় সম্মেলন আয়োজন করে তবেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা উচিত৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)