খাশগজি ইস্যু আলোচনায় রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৬ অক্টোবর ২০১৮মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরব পৌঁছেই বাদশাহ সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যান পম্পেও৷ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আত-জুবেইর তাঁকে স্বাগত জানান৷ তবে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি তাঁরা৷
তুরস্কের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ আগে ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেটে ঢোকার পর থেকেনিখোঁজ খাশগজিকে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে৷এই দাবির সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকার কথাও বলছে তুরস্ক৷ তবে এতদিন তা অস্বীকার করে এসেছে সৌদি আরব৷
সোমবার সৌদি-তুর্কি যৌথ তদন্ত দল কনসুলেটে তদন্তের জন্য যায়৷ প্রায় নয় ঘন্টা তল্লাশি শেষে কনসুলেট থেকে বের হয় তুর্কি পুলিশ৷ তবে সেখানে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে কিনা, তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষ৷
বাদশাহ সালমানের সাথে এ ইস্যুতে সরাসরি কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এরপরই তড়িঘড়ি রিয়াদে যান পম্পেও৷
এদিকে, কোনো ধরনের প্রমাণ বা তথ্য ছাড়াই খাশগজি হত্যায় ‘দুর্বৃত্ত' জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প৷ এই ইস্যুতে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়া মিত্ররাষ্ট্র সৌদি আরবকে একপ্রকার পালাবার পথ বের করে দিতেই ট্রাম্পের এ মন্তব্য কিনা, এ প্রশ্ন উঠেছে৷
রাতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে পম্পেওর৷ এই যুবরাজের সমালোচনায় বেশ কঠোর ছিলেন সাংবাদিক খাশগজি৷ ওয়াশিংটন পোস্টে তাঁকে নিয়ে একাধিক লেখাও প্রকাশ করেছেন খাশগজি৷ সালমান যুবরাজ হওয়ার পর সৌদি আরব থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে যান খাশগজি৷
এদিকে মঙ্গলবার একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, কনসুলেটে খাশগজি মারা গেছেন, এ তথ্য মেনে নিতে পারে সৌদি আরব৷
সিএনএন জানিয়েছে, মৃত্যুর খবর স্বীকার করলেও বাদশাহ বা যুবরাজ এ নির্দেশ দেননি বলেও জানাবে সৌদি আরব৷
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে,সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু এই হত্যায় জড়িত বলে ঘোষণা দিতে পারে সৌদি আরব৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ খাশগজিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন দিলেও সেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিজের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টায় এই ‘বাড়াবাড়ি' করে ফেলেছেন৷
তবে এ বিষয়ে এখনো সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷
এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)