1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাশগজি ইস্যু আলোচনায় রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৬ অক্টোবর ২০১৮

নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশগজির বিষয়ে কথা বলতে রিয়াদে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ ‘অননুমোদিত জিজ্ঞাসাবাদে খাশগজি মারা'' যাওয়ার তথ্য স্বীকারে প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব, প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷

https://p.dw.com/p/36cTX
Donald Trump und Prinz Mohammed bin Salman
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Vucci

মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরব পৌঁছেই বাদশাহ সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যান পম্পেও৷ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আত-জুবেইর তাঁকে স্বাগত জানান৷ তবে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি তাঁরা৷

তুরস্কের অভিযোগ, দুই সপ্তাহ আগে ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেটে ঢোকার পর থেকেনিখোঁজ খাশগজিকে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে৷এই দাবির সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকার কথাও বলছে তুরস্ক৷ তবে এতদিন তা অস্বীকার করে এসেছে সৌদি আরব৷

সোমবার সৌদি-তুর্কি যৌথ তদন্ত দল কনসুলেটে তদন্তের জন্য যায়৷ প্রায় নয় ঘন্টা তল্লাশি শেষে কনসুলেট থেকে বের হয় তুর্কি পুলিশ৷ তবে সেখানে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে কিনা, তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষ৷

বাদশাহ সালমানের সাথে এ ইস্যুতে সরাসরি কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এরপরই তড়িঘড়ি রিয়াদে যান পম্পেও৷

এদিকে, কোনো ধরনের প্রমাণ বা তথ্য ছাড়াই খাশগজি হত্যায় ‘দুর্বৃত্ত' জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প৷ এই ইস্যুতে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়া মিত্ররাষ্ট্র সৌদি আরবকে একপ্রকার পালাবার পথ বের করে দিতেই ট্রাম্পের এ মন্তব্য কিনা, এ প্রশ্ন উঠেছে৷

USA Demonstranten vor der Botschaft Saudi Arabiens in Washington
ছবি: picture-alliance/AA/S. Allahverd

রাতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে পম্পেওর৷ এই যুবরাজের সমালোচনায় বেশ কঠোর ছিলেন সাংবাদিক খাশগজি৷ ওয়াশিংটন পোস্টে তাঁকে নিয়ে একাধিক লেখাও প্রকাশ করেছেন খাশগজি৷ সালমান যুবরাজ হওয়ার পর সৌদি আরব থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে যান খাশগজি৷

এদিকে মঙ্গলবার একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, কনসুলেটে খাশগজি মারা গেছেন, এ তথ্য মেনে নিতে পারে সৌদি আরব৷

সিএনএন জানিয়েছে, মৃত্যুর খবর স্বীকার করলেও বাদশাহ বা যুবরাজ এ নির্দেশ দেননি বলেও জানাবে সৌদি আরব৷

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে,সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য এবং যুবরাজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু এই হত্যায় জড়িত বলে ঘোষণা দিতে পারে সৌদি আরব৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ খাশগজিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন দিলেও সেই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিজের যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টায় এই ‘বাড়াবাড়ি' করে ফেলেছেন৷

তবে এ বিষয়ে এখনো সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷

এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)