খুনিদের পেতে জাতিসংঘে চিঠি পাঠাবে সরকার
১৬ আগস্ট ২০১৪যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায় পালিয়ে থাকা আসামিদের ব্যাপারে দেশ দুটির ‘দ্বৈতনীতি'রও সমালোচনা করেন মন্ত্রীরা৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে দুজন অবস্থান করছেন ক্যানাডা এবং অ্যামেরিকায়৷ লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ক্যানাডায় আর লে. কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন – এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত৷
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘অ্যামেরিকা ও ক্যানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে তা বিলম্বিত হচ্ছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘ডিপ্লোম্যাসিতে অনেক কিছু ধীরগতিতে হয়৷ তবে আমরা সময়মতো তাদের হাতের নাগালে পাবো বলে আশা করি৷''
খুনিদের ফেরত পেতে অ্যামেরিকা ও ক্যানাডার ভূমিকার সমালোচনা করেন সৈয়দ আশরাফ৷ তিনি বলেন, ‘‘অ্যামেরিকা ও ক্যানাডা মানবতার দোহাই দিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু বলে৷ আপনারা জানেন, অ্যামেরিকায় নিয়মিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে৷ আপনারা শুনেছেন, কয়দিন আগে আড়াই ঘণ্টা ধরে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ কিন্তু আমাদের দেশের বেলায় মানবতা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলে তারা৷ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের তারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে৷''
একই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সহায়তা চেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি৷
আর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের মহাসচিবের সহায়তা চেয়ে তাঁকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হবে৷''
উল্লেখ্য লে. কর্নেল নূর চৌধুরী ও লে. কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে এই বিবেচনায় ক্যানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের ফেরত দিতে রাজি হচ্ছে না৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি রাজ্যে এখনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে৷ ১৮টি রাজ্যে মত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা হয়েছে৷ আর ১৯৭৬ সাল থেকে ক্যানাডায় মৃত্যুদণ্ড পুরোপুরি বিলোপ করা হয়৷