গণতন্ত্র ধরে রাখতে পদত্যাগ, বললেন ম্যার্কেল
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮নববর্ষ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ ম্যার্কেল বলেন, জার্মানির নিজ স্বার্থেই পরিবেশ, অভিবাসন ও সন্ত্রাসবাদ সমাধানে কাজ করতে হবে৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷
২০১৯ সাল থেকে পরবর্তী দু'বছরের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে যাচ্ছে জার্মানি৷ এই সময় জার্মানির সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি৷ ম্যার্কেল বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জার্মানির ভূমিকা হবে জোড়ালো এবং সুনির্দিষ্ট৷ ‘‘বিশ্বব্যাপী চলমান সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা বৈশ্বিক সমাধানে আগ্রহী'' এবং এ লক্ষ্যে জার্মানি কাজ করে যাবে বলে তিনি জানান৷
বিশ্ব রাজনীতিতে জার্মানির অবস্থান উল্লেখ করতে গিয়ে ম্যার্কেল বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জার্মানি কাজ করে যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করতে জার্মানি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
ম্যার্কেল বলেন, সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের প্রথম লক্ষ্য৷‘‘জার্মান সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য শিক্ষা, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চায়৷ এ সকল সুবিধা সমানভাবে নিশ্চিত করার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে চায় সরকার,'' বলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
তবে দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর আশঙ্কার কথা জানিয়ে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমরা যদি আমাদের মূল্যবোধের চর্চা করি ও আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্বাসকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি তাহলে নিশ্চয় নতুন এবং ভালো কিছুই আমরা করতে পারব৷''
মার্সেল ফুর্সটেনাউ/আরআর