গোলদাতা বনাম গোলরক্ষক
১৯ মার্চ ২০১৪ব্রাজিলের শিশুরাও ফুটবল খেলার সময় গোলরক্ষক কে হবে তা নির্বাচন করতে ‘রক, সিজার, পেপার' খেলে, অথবা আকাশে পয়সা ছুড়ে দিয়ে বলে ‘হেড' কিংবা ‘টেইল'৷ অর্থাৎ এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ একেবারেই কম৷ অথচ এই শিশুদের কাছেই যদি জানতে চাওয়া হয় তাদের ‘রোল মডেল' কে, তবে তারাও সেই গোলদাতাদের কথাই বলবে৷ এমনকি অভিভাবকরাও জানান যে, শিশুরা সাধারণত বল নিয়ে মাঠের মধ্যেই দৌড়াদৌড়ি করতে ভালোবাসে, ভালোবাসে খেলতে৷ কিন্তু জালের ভেতর থেকে গোল রক্ষা করাকে ভয় পায় তারা৷
পেলের এই জন্মভূমিতে বরাবরই গোলরক্ষকদের তুলনায় গোলদাতাদের পারিশ্রমিক বেশি৷ যাঁরা গোল রক্ষা করেন, তাঁদের চেয়ে যাঁরা গোল দেন অথবা গোল দেয়ার রাস্তা তৈরি করে দেন, যেমন যাঁরা ‘স্ট্রাইকার', তাঁদের প্রতি মনোযোগ সবার৷ তাই অনেকেই ভুলে যান কোন বিশ্বকাপে কে গোলরক্ষক ছিলেন এবং তাঁদের অবদান৷
এই যেমন, ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ২-০'তে জিতেছিল ব্রাজিল৷অথচ দুটি গোল রক্ষা করে সেই জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন যে গোলরক্ষক মার্কোস, তাঁর কথা কারো মনে নেই৷ সবার মনে আছে রোনাল্ডো আর রিভাল্ডোর কথা৷ ঠিক তেমনি ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের গোলরক্ষক ফেলিক্সের কথাও কারো মনে নেই৷ কিন্তু পেলে, গার্সন, রিভেলিনো এবং তোস্তাও-এর কথা ভোলেননি কেউ৷
এবারও তার ব্যতিক্রম নেই৷ নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনে ব্যস্ত ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ৷ জনগণের আশা এবারও তাদের দেশই জিতবে৷ কিন্তু তারা ভরসা করে আছেন নেইমার, অস্কারের মতো তারকা ফুটবলারদের উপর৷ অর্থাৎ একমাত্র কোনো ভুল করলেই হয়ত এবারে ব্রাজিল দলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হবেন, অন্যথায় নয়৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)