1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু শক্তির ব্যবহার নিয়ে জার্মানিতে বিতর্ক

১ আগস্ট ২০২২

গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার৷ জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও পারমাণবিক বিদ্যুৎ বন্ধ করার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4Ey0Y
জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার
ছবি: Stefan Boness/Ipon/IMAGO

রাশিয়ার আবারও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর রোববার গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার৷ ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি শিগগিরই গ্যাস স্বল্পতার মুখে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড আম সনটাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডনার বলেন, ‘‘গ্যাস সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকটও তৈরি হোক, এমনটা আমরা চাচ্ছি না৷''

প্রয়োজনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার আইনী ক্ষমতা দেশটির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হাবেকের রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী৷ নয়াউদারপন্থি দল ফ্রি ডেমোক্র্যাটস পার্টি- এফডিপির রাজনীতিবিদ লিন্ডনার পরমাণু বিদ্যুৎকে ‘নিরপদ এবং পরিবেশবান্ধব' উল্লেখ করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৪ সাল পর্যন্ত চালু রাখারও আহ্বান জানান৷

জার্মানিতে গত বছর তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ডিসেম্বরে আরো তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার কথা রয়েছে৷ এবছরের প্রথম তিন মাসে জার্মানির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ছয় শতাংশ এসেছে পরমাণু বিদ্যুৎ থেকে, অন্যদিকে গ্যাসে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ১৩ শতাংশ৷

তবে তার এমন মন্তব্যের ফলে জার্মান সরকারে এফডিপির অন্য জোটসঙ্গী পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে৷ পরমাণু বিদ্যুৎে ফেরত যাওয়ার সিদ্ধান্ত ‘আমরা থাকতে কার্যকর হবে না' বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির সহ-প্রধান রিকার্ডা লাং৷ পাবলিক ব্রডকাস্টার জেডডিএফকে তিনি বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎ এখনও একটি ‘উচ্চঝুঁকির প্রযুক্তি'৷

পরমাণুর পক্ষে মত জোরালো হচ্ছে

পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার এই দাবি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের মধ্য-বামপন্থি দল এসপিডি এবং তাদের জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টিকে একটু বিপদেই ফেলে দিয়েছে৷ গ্রিনপার্টির মূলনীতির অন্যতম পরমাণু বিদ্যুতের বিরোধিতা৷ অন্যদিকে জার্মানিকে পরমাণু বিদ্যুৎ থেকে বের করে নিয়ে আসার ব্যাপারে এসপিডির সঙ্গে গ্রিনদের সমঝোতা প্রায় দুই দশকের পুরাতন৷

জাপানের ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পরপর ২০১১ সালে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দেশটির পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ কিন্তু এবারপরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থায়ীত্ব দীর্ঘায়িত করার জন্যলিন্ডনারের প্রস্তাবে সমর্থন রয়েছে ম্যার্কেলের দল মধ্য-ডানপন্থি সিডিইউ এর৷

তবে এখন পর্যন্ত সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থান পরমাণু বিদ্যুতে ফেরত না যাওয়ার পক্ষে৷ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু রাখাটা আইনগত এবং কৌশলগত দিক থেকেও জটিল একটি প্রক্রিয়া৷ এর ফলে গ্যাস সংকটের সমাধান হবে না বলেও মনে করে সরকার৷

এডিকে/কেএম (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)