গ্রিস-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে বিক্ষোভ
১ মার্চ ২০১৬ম্যাসিডোনিয়া আর গ্রিসের মাঝখানের ইডোমেনিতে আটকে পড়ে দুর্বিষহ জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করতে চান তাঁরা৷ সেখান থেকে জার্মানিতে প্রবেশের উদ্দেশ্য নিয়েই নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেছেন৷ কেউ এসেছেন ট্যাক্সিতে চড়ে, কেউ বা পায়ে হেঁটে৷
বলা হয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে৷ কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না৷ খুব কম মানুষই পাচ্ছেন এ সুযোগ৷ সোমবার মাত্র ৫০ জনকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া হয়েছে৷
অথচ প্রতিদিন অন্তত দেড়শ নতুন অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছেন সিরিয়া, ইরাক বা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে৷ ফলে যে জায়গায় ৩ হাজার মানুষের স্থান সংকুলান হয়, সেখানে এখন ৭ হাজার মানুষের ভিড়৷
শনিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করতে দিতে হবে৷ দাবি মেনে না নেয়ায় সীমান্তরক্ষীদের প্রতি প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, তারপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করেন তারা৷ পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের নিরস্ত করে৷
এদিকে সিরিয়ার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে যাঁরা জার্মানিতে এসেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে জার্মান সরকার৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মরক্কো থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ৷ অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কার্যালয় বিএএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মরক্কো থেকে জার্মানিতে এসেছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ৷ তাঁদের অনেকেই জার্মানিতে প্রবেশ করে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে নিজেদের সিরীয় হিসেবে দাবি করেন৷
তাঁদের মাত্র শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগ এ পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি পেয়েছেন৷ বাকিদের মরক্কোয় ফেরত পাঠানোর উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছে মরক্কো৷ রাজধানী রাবাতে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়েরের সঙ্গে বৈঠকে মরক্কো সরকারের পক্ষ থেকে এ সম্মতির কথা জানান সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামেদ হাসাদ৷