ইউরো কাপ
১৭ জুন ২০১২ঋণের ভারে জর্জরিত গ্রিকদের জন্য এখন আনন্দের উপলক্ষ্য নেই বললেই চলে৷ বরং এথেন্সে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিত্যদিনের ঘটনা৷ গ্রিকদের এই হতাশার মাঝে খানিকটা উচ্ছ্বাস এনে দিল ইউরো কাপ ফুটবল৷ শনিবার রাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় পায় গ্রিস৷ মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে ওয়ারশ জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজারো গ্রিক ভক্তদের মাঝে এবং অবশ্যই পুরো গ্রিসে৷
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গ্রিসের পক্ষে গোল করেন ইয়রগস কারাগুনিস৷ ৩৫ বছর বয়সি এই গ্রিক অধিনায়ক জানান, গ্রিস ত্যাগ করার সময়ই তাদের প্রতিজ্ঞা ছিল নিজেদের সবটুকু উজাড় করে খেলার৷ এই জয়ের ফলে গ্রিকদের মুখে হাসি ফুটেছে, বলেন তিনি৷ এটি ছিল কারাগুনিস'এর ১২০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ৷ ২০০৪ সালে ইউরো জয়ী গ্রিকদলের একজন সদস্য তিনি৷ অবশ্য সেই দলের আরো কয়েক খেলোয়াড় চলতি আসরেও খেলছে৷
বলাবাহুল্য, গ্রিসের এই জয়ের সঙ্গে খানিকটা বেদনাও আছে৷ বিশেষ করে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তগুলো সেদলের বিপক্ষেই যাচ্ছে বেশি৷ কারাগুনিস নিজেও এই বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন৷ চেক রিপাবলিক'এর বিরুদ্ধে একটি গোল বাতিল হয় সে দলের৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলেও খেলাটা অত্যন্ত কঠিন ছিল, জানান কারাগুনিস৷ তিনি বলেন, ‘হয়ত, উয়েফার উচিত ম্যাচের ভিডিও দেখা৷ এটা অনৈতিক৷ রেফারির সবগুলো সিদ্ধান্তই আমাদের দলের বিপক্ষে গেছে৷'
দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় পরের ম্যাচ খেলতে পারবেন না কারাগুনিস৷ ইতিমধ্যে অবশ্য গ্রিসের পর্তুগিজ কোচ ফ্যার্নান্ডো সান্টস বিকল্প ভাবতে শুরু করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কারাগুনিস যদি পরের ম্যাচ খেলতে না পারে, তাহলে কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব একটি সমাধান খুঁজে বের করা''৷
উল্লেখ্য ইউরো ২০১২'র শুরুর ম্যাচে সহ-আয়োজক পোল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রিস৷ পরের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ১-২ গোলে পরাজয়৷ আর সর্বশেষ ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে জয়৷ রাশিয়া অবশ্য টুর্নামেন্টের শুরুতে চমক দেখালেও সর্বশেষ পরাজয়ের কারণে গ্রুপ পর্যায় থেকে বাদ পড়েছে৷
এআই / আরআই (এএফপি, ডিপিএ)