1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিকদার গ্রুপের রন হকের জামিন

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাবার মৃত্যু খবর পেয়ে শুক্রবার দেশে ফিরে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার৷ এর কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে জামিন দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/3pG3p
ঢাকা বিমানবন্দর
ছবি: Mortuza Rashed

বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গোষ্ঠী সিকদার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার গত বুধবার দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘রন হক সিকদার তার বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা আসার সাথে সাথে বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে একটিই মামলা আছে; সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷’’

রনকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়৷ বিচারক আশেক ইমাম আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন৷

এ সময় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়নি বলে আদালতের সহকারী পিপি আজাদ রহমান বিডিনিউজকে জানান৷

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছর ১৯ মে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়৷ গত ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই ভাইয়ের ব্যাংককে পাড়ি জমানোর খবর প্রকাশ হয়৷ সে খবরে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রন হক সিকদারের একটি গাড়ি জব্দ করে৷

গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ, রন হক সিকদার গত বছরের ৭ মে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে গিয়ে  তাদের প্রস্তাবিত ঋণের টাকার বিপরীতে ‘কো-লেটারেল' হিসেবে সিকদার গ্রুপের রূপগঞ্জ কাঞ্চন প্রস্তাবিত আদি নওয়াব আসকারী জুট মিলটি পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান এমডি হায়দার আলী ও অতিরিক্ত এমডি ফিরোজকে৷ পরিদর্শনের পরে জায়গাটির বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে গ্রাহকের বন্ধকী মূল্যের বিশাল ব্যবধান হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডি দ্বিমত পোষণ করেন৷

এর জের ধরে ‘কৌশলে’ এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পূর্বাচলে নিয়ে ‘হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ’ এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেখান থেকে বনানী ১১ নম্বরে সিকদার হাউজে নিয়ে ‘হেনস্থা করা হয়’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে৷ এজাহারে বলা হয়, জমির দাম কম বলায় রন ও দীপু এক্সিম ব্যাংকের এএমডি ফিরোজকে ‘মারতে উদ্যত হলে’ তিনি মাফ চেয়ে প্রাণে বাঁচেন৷

‘‘রন হক সিকদার ও দিপু সিকদার (এক্সিম ব্যাংকের) এমডিকে প্রজেক্টের সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী আছে দাবি করে তাদের সাথে থাকা অস্ত্র তাক করে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়৷’’ এক্সিম ব্যাংকের এমডি, এএমডি ও দুই চালককে প্রায় ৫ ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়৷

ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ, ইকনোমিক জোন, অ্যাভিয়েশন, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মত বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে আছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের গড়া সিকদার গ্রুপের ব্যবসা৷ রয়েছে বিভিন্ন সহযোগী কোম্পানিও৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য