ঘুমের মধ্যেও করোনার থাবা
৭ এপ্রিল ২০২০করোনার সংকটে সময় মানুষ অন্য সময়ের চেয়ে একটু এলোমেলো বা প্রাণবন্ত স্বপ্ন দেখতে পারে যা স্বাভাবিক, এর ব্যাখাও জানালেন বিশেষজ্ঞরা ৷ ক্রনোবায়োলজিস্ট টিল রোয়নে ব্যার্গ বলেন, ‘‘যারা ভাইরাসের সর্বশেষ খবরগুলো সারাক্ষণ অনুসরণ করে, তাদের মস্তিষ্কে ঘুমের মধ্যেও এই চিন্তাই হানা দেয় ৷ দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা ঘুমের সময় মানুষের সাব কনশাস মাইন্ডে তথ্য হিসেবে জমা থাকে৷ আর এই জমে থাকা তথ্য রাতে স্বপ্ন হয়ে আমাদের অবচেতন অবস্থায় আসে৷’’
টিল রোয়নে ব্যার্গ আরো বলেন, ‘‘আমাদের সমস্ত চিন্তা জুড়ে এখন শুধুই করোনা ভাইরাস৷ করোনা সংকটকালীন সময়ে সামান্য গলা খুসখুসও অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়৷’’ টিল রোয়নে ব্যার্গ সম্প্রতি ‘ঘুমের অধিকার' বিষয়ক একটি বই প্রকাশ করেছেন৷
ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হান্স গ্যুন্টার ভেস তার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘‘দুঃস্বপ্ন নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, এসব স্বপ্নের ৭০ থেকে ৮০ ভাগই আবেগজনিত ও নেতিবাচক, যেগুলো কোনো সংকট ছাড়াও মানুষের ঘুমের মধ্যে হানা দেয়৷ করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি ছাড়াই জার্মানির জনসংখ্যার ছয় শতাংশ মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন যার চিকিত্সা প্রয়োজন৷ আর সংখ্যাটি এই মুহুর্তে বাড়তে পারে৷ অতিরিক্ত ঘুম যেমন মানুষের মন মেজাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তেমনি খুব কম ঘুমও শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দূর্বল করে দেয়, দুটোই অস্বাস্থ্যকর৷’’ ডা. ভেস ঘুম সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন৷
‘মিডিয়া হাইজিন’ সম্পর্কে এই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য জানা জরুরি, তবে এক মিডিয়া থেকে অন্য মিডিয়ার খবর জানতে বেশি তাড়াহুড়ো না করাই ভালো৷’’ তাঁর মতে, ঘুমানোর একঘন্টা আগে টিভি, সেলফোন ইত্যাদি বন্ধ করা উচিত৷
‘‘ঘুমের আগের সময়টুকু পরিবারের সাথে কথা বলুন, মজার কোনো সিনেমা দেখুন বা গান শুনুন৷ ভালো বই পড়তে পারেন যা আপনার মনকে আনন্দ দেবে৷’’
এনএস/এসি (কেএনএ)