ঘুরে আসুন মালদ্বীপ থেকে
১৮ অক্টোবর ২০১৩সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশ মালদ্বীপের আয়ের একটা বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে৷ দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ খুবই আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে পশ্চিমা নবদম্পতিরা সেখানে যেতে খুব পছন্দ করেন৷
কিন্তু পশ্চিমা পর্যটক মানেই তাদের বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে হয়৷ যেমন অবাধে পানীয় পানের সুযোগ, ইচ্ছামতো পোশাক আশাক পরা, নারী-পুরুষের বিয়ে বহির্ভূত যৌনমিলনের সুযোগ ইত্যাদি৷ কিন্তু এর কোনোটাই মুসলিম দেশ মালদ্বীপের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷
তাই আগে পর্যটকদের মনুষ্য বসতি আছে এমন কোনো জায়গায় যেতে দেয়া হতো না৷ রাজধানী মালের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর পর্যটকদের স্পিডবোটে বা এয়ার ট্যাক্সিতে করে বিভিন্ন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হতো৷ সেসব দ্বীপে কোনো বসতি থাকত না৷ ফলে পর্যটকরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেন৷
তবে ২০০৯ সালে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মোহাম্মদ নাশিদ একটি সংস্কার আনেন৷ এর ফলে মালেতে বসবাসকারীরা তাদের ‘গেস্টহাউস' বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়ার সুযোগ পান৷
এতে করে যেটা হয়েছে তা হলো পর্যটকদের আর স্পিডবোট বা এয়ার ট্যাক্সির মতো ব্যয়বহুল যানে চড়তে হচ্ছে না৷ আর রাজধানীতে থাকতে পারার কারণে কম খরচে খাওয়া দাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ অথচ আগে এয়ার ট্যাক্সিতে করে যে দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হতো সেখানে মানুষজন না থাকায় খাবারের দাম হতো অনেক বেশি৷
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে৷ বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ২৫ বছর বয়সি মালের এক যুবক কদিন আগে একটি গেস্টহাউস চালু করেছেন৷ সেখানে প্রতি রাতের ভাড়া ৩০ ডলার৷ অথচ দ্বীপগুলোতে যে রিসোর্ট রয়েছে সেখানে ভাড়াটা এর চেয়ে প্রায় ১০ গুন বেশি!
সুতরাং ভ্রমণপ্রিয় পাঠকরা সময় ও সুযোগ পেলে চলে যেতে পারেন মালদ্বীপে৷ মালদ্বীপের এয়ারলাইন্স ‘মালদিভিয়ান' সপ্তাহে দু'দিন ঢাকা থেকে মালেতে চলাচল করে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)