ঘৃণার রাজনীতির ইতি ঘটবে আশা দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী নেতার
১০ জানুয়ারি ২০২৪হামলার সন্দেহে আটক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন লি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেজন্যই এই ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছেন৷
গত সপ্তাহে বুসানে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লি জায়ে মিউং৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি সবাইকে হতবাক করে দেয়া এই ঘটনা ঘৃণার রাজনীতির অবসানে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে৷''
এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক মেরুকরণ ঘটেছে৷ উত্তেজনা চলছে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েওলের রক্ষণশীল দল ও লির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে৷
সম্প্রতি বুসানে এক ব্যক্তি লির অটোগ্রাফ চাওয়ার অজুহাতে কাছে এসে তার ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করেন৷ দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার জখম সারিয়ে তোলেন চিকিৎসকরা৷
গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে৷ তিনি নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসে তাড়িত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন৷
৬৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, লি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন এবং তার দল যাতে নির্বাচনে জিততে না পারে সেজন্য তিনি হামলা চালিয়েছেন৷ লির বিরুদ্ধে ঘুসের মামলা যেভাবে সামলানো হয়েছে তা নিয়েও অসন্তুষ্ট ঐ ব্যক্তি৷ তবে ঘুস নেয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন লি৷
এদিকে এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক৷ এই ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের নেতারা৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)