সক্রিয় ‘ফালতু’ ও ‘বদি আলম’রা
১৪ জুলাই ২০১৪‘চট্টগ্রাম বন্দর এবং কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অটোমেশন: প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এক গবেষণার তথ্য সোমবার প্রকাশ করেছে টিআইবি৷
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্কায়নের বিভিন্ন ধাপে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা, পরীক্ষণে ১০০ থেকে চার হাজার টাকা, কাস্টমস হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দৈনিক ন্যূনতম ৪৭ লাখ পাঁচ টাকা এবং পণ্য ছাড়ে দৈনিক ন্যূনতম ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আদায় করা হয়৷
আর এই অবৈধ লেনদেনে ব্যবসায়ী ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মুখ্য সহায়তাকারীর দায়িত্ব পালন করে ৬০-৭০ জন ‘বদি আলম' ও ‘ফালতু'৷ এরা মূলত দালাল৷ আর তারা মূলত কমিশনের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়ে কাজ করে৷ কাস্টমস হাউসে অটোমেশন চালুর পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও বিদ্যামান থাকায় অবৈধ অর্থ আদায়ের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস তাঁরা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ তাতে দেখা গেছে শুধু আমদানি পর্যায়েই চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার অবৈধ লেনদেন হয়৷ এই অবৈধ লেনদেনের সুবিধা নেন কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের একাংশ৷
তারঁ মতে কাস্টমস হাউস পুরোপুরি অটোমেশন করা গেলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহীতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে না৷ তখন দুর্নীতির মাত্রা কমে আসবে৷
তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের যোগসাজশ ও কারসাজির কারণে অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না৷ যে মহলটি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে তারা চট্টগ্রাম বন্দর ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে৷ টিআইবি এজন্য নয় দফা সুপারিশ করেছে৷
টিআইবি'র প্রতিবেদনটি সম্পর্কে কাস্টমস কমিশনার মাসুদ সাদিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি তাঁর হাতে নেই৷ প্রতিবেদনটি পড়ে তিনি এ ব্যাপারে বক্তব্য দেবেন৷
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোছাইন আনুষ্ঠানিকভাবে পরে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন৷