চট্টগ্রাম বন্দরে ২ কোটি লিটার তেলভর্তি জাহাজ
২ মে ২০২২ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ‘এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ নামের একটি জাহাজ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে এসেছে এবং সেখান থেকে খালাস প্রক্রিয়া চলছে৷
সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটিতে সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা তেল রয়েছে৷
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক সয়াবিন তেল নিয়ে জাহাজ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, "খালাসের প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে৷”
বিদেশ থেকে আনা এই সয়াবিন তেল প্রথমে পতেঙ্গা ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হয়৷ এরপর সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তাদের কারখানায় নিয়ে গিয়ে সেখানে পরিশোধন করে বাজারজাত করে থাকে৷
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর সারাবিশ্বের মতো সয়াবিনের বাজারে অস্থিরতা শুরু হলে দেশের তেলের বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে তেলের ওপর বিভিন্ন শুল্ক প্রত্যাহার করে এবং দাম নির্ধারণ করে দেয়৷
অস্থিরতার মধ্যেই খোলা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা গিয়েছে৷ বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় খোলাবাজারের দোকানিরা সয়াবিন তেল নিতে পারছেন না। আবার দোকানিরাও তাদের সংগ্রহে যা আছে, তা ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করছেন৷
সয়াবিন তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বিশ্ববাজারে দাম বাড়তি, তাই আমদানি করা সয়াবিনের দামও বেশি দরে বাজারে বিক্রি করতে হবে। ঈদের পরে সরকার নতুন দাম ঠিক করে দিলে সে অনুযায়ী দাম ঠিক করা হবে৷’’
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘‘বাজারে সয়াবিনের সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। আমদানিও হচ্ছে, তবে তা বেশি দামে। দাম নিয়ে সরকারের বাইরে যাবার সুযোগ আমাদের নেই। ঈদের পরে সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবে দাম ঠিক করবো৷’’
এদিকে ইন্দোনেশিয়া তাদের দেশ থেকে পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশেও পাম তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে৷
এএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম)