1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জ্বালানি তেল সরবরাহ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই

১৬ মার্চ ২০২২

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল নিয়ে অস্থিরতা বাড়লেও বাংলাদেশে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিলেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ৷

https://p.dw.com/p/48XrJ
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ (ফাইল ছবি)ছবি: Saudi Press Agency/dpa/picture alliance

বুধবার বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ‘উচ্চ পর্যায়ের' সংলাপের পর এ আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বলেন,  ‘‘আমি যেটা আপনাদের বলতে পারি, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এ পর্যন্ত সব সূচক যা বলছে… তেলের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কার কিছু এখনও নেই৷’’

জ্বালানি তেল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতিদিন ১১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ১১ শতাংশ৷বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সৌদি আরবের আরামকো থেকে বছরে ৭ লাখ টন আরব লাইট অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে৷ তেল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে, যার অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপে৷

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মত ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করায় প্রতি ব্যারেলের দাম ওঠে ১৩৯ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ৷

গত কয়েক দিনে তা আবার ১০০ ডলারের আশপাশে নেমে এলেও কমেনি বিশ্ববাজারে শঙ্কা আর অস্থিরতা৷ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে কতটা পড়বে, সরবরাহে জটিলতা তৈরি হবে কি না, সেসব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বাংলাদেশেও

দাম বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-র লোকসান বাড়ছে বাংলাদেশেও৷ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, শুধু ডিজেলেই তাদের দৈনিক ১৩ কোটি টাকার মতো লোকসান হচ্ছে ৷

জ্বালানি ও  খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেছেন, এখনই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা সরকার ভাবছে না৷

সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,  ‘‘আমরা চাচ্ছি, কতটুকু স্থিতিশীল রাখা যায় দামের বিষয়টা (জ্বালানির ক্ষেত্রে)৷ দেখা যাক, এখনও পরিস্থিতি নাগালের বাইরে না৷’’

 ‘‘সরকার চাচ্ছে যে, লোকসান করে হলেও সেখানে ভর্তুকির পরিমাণ  বাড়িয়ে দিয়ে কতটুকু চলা যায়৷ এটা যদি খুব বেশি বড় হয় তাহলে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে৷ এখনও সেই জায়গাতে আমরা যাইনি৷’’ বলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)