৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট
১২ জুলাই ২০১২ঢাকায় এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে বুধবার সকাল থেকে৷ আর শেষ হবে কাল সকালে৷ সিএনজি অটোরিকশার চালকরা মালিকের জমার টাকা কমানো, মিটার তুলে দেয়া এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন৷ আর এতে, সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে৷ তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাড়িয়ে থেকেও গন্তব্যে যাওয়ার কোনো উপায় করতে পারছেন না৷
সিএনজি অটোরিকশার চালকদের ক্ষোভ মূলত পুলিশের বিরুদ্ধে৷ তাদের দাবি, পুলিশ নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে৷ আর না দিলে হয়রানিমূলক মামলা ঠুকে দেয়৷
তবে সিএনজি অটোরিকশার চালকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের অন্ত নেই যাত্রীদের৷ তারা ইচ্ছেমত ভাড়া হাঁকেন৷ মিটারের তোয়াক্কা করেন না৷ আর রাজধানীর যেকোনো গন্তব্যে যাওয়া বাধ্যতামূলক হলেও, তারা তা মানেন না৷ সবই নির্ভর করে তাদের মেজাজ-মর্জির ওপর৷
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচলকারী পণ্যবাহী কভার্ড ভ্যান ও ট্রাক চালকরাও ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন৷ এতে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷ তাদের মূল দাবি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা৷
তবে ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার কবির হোসেন পুলিশি হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অনেক গাড়িরই কাগজপত্র থাকেনা৷ তাই এসব গাড়ি রেকার দিয়ে টেনে ডাম্পিংয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার থাকেনা৷
অন্যদিকে, ধর্মঘট উপেক্ষা করে বেশি রোজগারের আশায় দু-একটি সিএনজি অটোরিকশা যে রাস্তায় নামছেনা, তা নয়৷ তবে ধর্মঘটিদের সামনে পড়লে তার মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ