ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক
১১ জানুয়ারি ২০১৩কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার উভয়দিকে থমথমে উত্তেজনা৷ ভারতীয় সেনার গুলিতে গতকাল আরেকজন পাকিস্তানি সেনা প্রাণ হারিয়েছে, এই অভিযোগে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনারকে পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকে তলব করে প্রতিবাদ পত্র দেয়া হয়৷ ভারত সঙ্গে সঙ্গে তা অস্বীকার করে বলেছে, সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের মদতে জঙ্গিরা ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে হত্যা করেছে৷
উত্তেজক পরিস্থিতির প্রথম শিকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতি শান্তি প্রক্রিয়া তথা আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ৷ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার পুঞ্চ-রাওয়ালকোট সীমান্তে পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত গেট বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আটকা পড়ে তরতরকারি ও ফল বোঝাই ভারতীয় ট্রাক৷ স্থগিত রাখা হয় ঐ এলাকায় বাস পরিষেবা, যা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত দুই কাশ্মীরের মানুষজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য৷
এটা কী তাহলে দু'দেশের শান্তি প্রক্রিয়ার অশনি সঙ্কেত? রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উদয়ন বন্দোপাধ্যায় তা মনে করেন না৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর শান্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি৷ কারগিলের পর বন্ধ হয়নি৷ এসব ঘটনায় সাময়িক বিরতির মধ্যেই শান্তি প্রক্রিয়া চলবে এবং চলেছে৷ এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নেরও একটা জায়গা আছে, যে জায়গা থেকে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে কাছাকাছি আসতেই হবে৷
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গণতন্ত্র যদি ঠিকমতো চলে, সেখানে যদি উন্নয়ন হয় এবং কাশ্মীরীরা যদি ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে পাকিস্তান সেটা কখনই সুনজরে দেখবে না৷ কাশ্মীর ইস্যু ভারত-পাকিস্তানের ‘লাভ-হেট রিলেশনশিপ'-এর অঙ্গ হয়ে থাকবে, বলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক বন্দোপাধ্যায়৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে শক্রবার বলেন, পাকিস্তানের দিক থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়৷ দেশের নিরাপত্তায় সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ আর বিমান বাহিনীর প্রধান জানান, কড়া নজর রাখা হচ্ছে উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে৷