চিড়িয়াখানায় হরিণ জবাই - এ কেমন চিড়িয়াখানা, কেমন মানুষ!
৩১ মে ২০২৩সরাসরি হত্যা না হলেও জেলখানায় ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু'র ঘটনা এখনো খবরে দেখি৷
পত্রিকায় দেখলাম,শেরপুরের ইকোপার্কের চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটিকে দুর্বৃত্তরা জবাই করে খেয়ে ফেলেছে৷ রাতের আঁধারে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে অবস্থিত মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে থাকা মিনিচিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটিকে জবাই করে ৫০ কেজি মাংশ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা৷ এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী একটি মামলা করে আটক একজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে৷ হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় আরো যারা সম্পৃক্ত রয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷
মনে পড়ে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও ৪ জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছিল৷ সেই সময় রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা তো দেয়ইনি, উল্টো খুনিদের পালিয়ে যেতে ‘সহায়তা' করেছিল৷
কিছুদিন আগে কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন লেখক মুশতাক আহমেদ৷পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পুলিশ নিরাপত্তা দেবে কি, উল্টে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ!
চিড়িয়াখানার হরিণ জবাইয়ের ঘটনাটি যেন অভিযোগের পর্যায়ে সীমিত না থাকে৷ বাংলাদেশে আইন তো রয়েছে অনেক, তবে সেসবের প্রয়োগ কোথায়, কতটা হয়- এ প্রশ্ন থেকেই যায়৷
চিড়িয়া খানার হরিণ চুরি করে খেয়ে ফেলার মতো ঘটনা জার্মানিসহ বিশ্বের অনেক দেশে কল্পনাই করা যায় না৷ এমন অকল্পনীয় একটি অপরাধ করেছে তারা কেমন মানুষ! চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষই বা কেমন কর্তৃপক্ষ? তারা প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে কতটা আন্তরিক? হরিণ হত্যা করে রান্না করে তার মাংস খেয়ে ফেলায় জড়িত সবার যেন কঠিন সাজা হয়৷শেরপুরের ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও যেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়৷