1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রতি মানুষের সমর্থন, ওয়াশিংটনের উৎসাহ

১৩ আগস্ট ২০১৯

এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নির্ধারিত তারিখে যে কোনো মূল্যে ব্রেক্সিটের পক্ষে৷ মার্কিন প্রশাসনও ব্রেক্সিট তরান্বিত করতে একাধিক বিচ্ছিন্ন বাণিজ্য চুক্তি করতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/3No8H
কড়া ব্রেক্সিট নীতির পক্ষে সমর্থন পাচ্ছেন বরিস জনসন
ছবি: picture-alliance/empics/B. Lawless

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চাইলেও ইইউ সেই প্রস্তাব মানতে রাজি নয়৷ ইইউ-র উপর চাপ বজায় রাখতে তিনি তাই আরও জোরালোভাবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন৷ সেপ্টেম্বর মাসে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে তিনি অবশ্য চাপের মুখে পড়তে চলেছেন

কারণ যে কোনো মূল্যে আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে নিয়ে যেতে চান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ এমনকি ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়া সম্ভব না হলেও তিনি আর বিলম্ব করতে চান না৷ অসংখ্য বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতি জগতের সাবধানবাণী সত্ত্বেও জনসন এই প্রশ্নে অটল অবস্থান নিয়েছেন৷ এ ক্ষেত্রে সংসদের অনুমোদনেরও তোয়াক্কা না করে প্রয়োজনে সংসদকে সাময়িকভাবে অকেজো করে ব্রেক্সিট কার্যকর করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন নি তিনি৷ এমন বিতর্কিত অবস্থানের পেছনে কতটা জনসমর্থন রয়েছে, তা নিয়ে সংশয় ছিল৷

এবার ‘ডেলি টেলিগ্রাফ' সংবাদপত্রের এক জনমত সমীক্ষায় জানা গেল, যে ব্রিটেনের প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থনকে সমর্থন করেন৷ এমনকি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ও সংসদ মূলতুবি করেও সেই লক্ষ্য পূরণ করলেও তাঁদের কোনো আপত্তি নেই৷ সেই সমীক্ষা অনুযায়ী জনসন প্রধানমন্ত্রী হবার পর টোরি দলের প্রতি জনসমর্থনও প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে গেছে৷

সরকারের ব্রেক্সিট-নীতির পক্ষে জনসমর্থন সত্ত্বেও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের জন্য মানুষের প্রস্তুতিও পুরোদমে চলছে৷ ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্য আচমকা থমকে গেলে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে৷ তাই মানুষ আগে থেকেই পণ্য মজুত করতে শুরু করেছে৷ সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী সাধারণ মানুষ এই লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করেছেন৷

সোমবার বরিস জনসন আরও একটি সূত্র থেকে তাঁর অনমনীয় ব্রেক্সিট নীতির প্রতি সমর্থন পেলেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন লন্ডনে জনসনের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে ওয়াশিংটন দ্রুত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির পথে অগ্রসর হতে প্রস্তুত৷ প্রয়োজনে বিচ্ছিন্নভাবে আলাদা আলাদা বিষয়েও চুক্তি করতে পারে দুই দেশ৷ অর্থাৎ যে সব বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব, সে সব ক্ষেত্রে আগেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, বলেন বোল্টন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)