ওয়েজিলের ম্যাজিক
২ অক্টোবর ২০১৩‘অ্যাবসলিউটলি অ্যামেজিং,'' উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন ওয়েঙ্গার৷ ক্লাব-রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে রেয়াল থেকে আনা হয় ও্যজিলকে৷ ওয়েজিল যে খুব খুশি হয়ে রেয়াল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন, এমন বলা চলে না৷ কিন্তু বড় প্লেয়ারদের লক্ষণই বোধহয় এই: মঙ্গলবার ওয়েজিল ছিলেন আর্সেনালের খেলার প্রাণ৷ তাঁর স্পর্শ, কল্পনা এবং গতিবিধিকে কেন্দ্র করে আর্সেনাল যেন ফিরে যায় দশ বছর আগে তাদের সেই ‘গ্লোরি ডে'জ'-এ, তাদের সেই ফর্মে, যখন এই আর্সেন ওয়েঙ্গারই তাদের কোচ ছিলেন৷
‘‘ফ্যানরা একজন মহান খেলোয়াড়ের কাছ থেকে যা কিছু দেখতে চায়, ওর তার সবই আছে: ব্যক্তিগত কুশলতা, দলগত খেলা, ফিনিশিং,'' ওয়েঙ্গার রিপোর্টারদের বলেন৷ ‘‘ও ফুটবল খেলতে ভালোবাসে, ও দলের অন্যদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসে৷ ও খুব তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে এক হয়ে গেছে৷'' আট মিনিটের মাথায় ওয়েজিল খেলার - এবং আর্সেনালের হয়ে তাঁর প্রথম গোলটি করেন পেনাল্টি এরিয়ার এক কোণ থেকে৷ পরে অলিভার জিরু'র দ্বিতীয় গোলটিও হয় ও্যজিলের পাসে৷
মেসি-বিহীন বার্সা
ঐ মঙ্গলবারই টেন-ম্যান সেলটিককে হারাতে বার্সাকে বেগ পেতে হয়েছে, যার একটা কারণ অবশ্যই লিওনেল মেসি'র অনুপস্থিতি৷ পরে বার্সার কোচ জেরার্দো মার্তিনো স্প্যানিশ টিভি'তে স্বীকার করেছেন: ‘‘লিও'কে মিস না করা অসম্ভব৷ ওটা সব দলের পক্ষে এক হতো৷'' তবে বার্সার এখন মেসি না থাকলেও নেইমার থাকে, সেটাই যা বাঁচোয়া৷
নেইমার হচ্ছেন শাঁখের করাতের মতো, যা যেতেও কাটে আবার আসতেও কাটে৷ সেলটিকের ক্যাপ্টেন স্কট ব্রাউন একটি টক্করের পর পড়ে যাওয়া নেইমারের পিঠে বুট লাগাতে স্কট ব্রাউনকে লাল কার্ড দেখে বিদায় নিতে হয়৷ তারপর খেলা চলে: খেটে খাওয়া সেলটিকের বিরুদ্ধে বার্সার চারুকলা৷ তা'তেও কাজ হতো কিনা সন্দেহ, যদি না ৭৬ মিনিটের মাথায় নেইমার বলটি ডানদিকে আলেক্সিস সাঞ্চেজ'এর কাছে পাঠিয়ে দিতেন৷ সাঞ্চেজ বলটা পিছনের পোস্টে ফেরৎ পাঠাতে হেড করে খেলার একমাত্র গোলটি করেন চেস্ক ফাব্রেগাস৷
এক-একটি প্লেয়ার, এক-একটি অস্ত্র
যেমন জার্মান খেলোয়াড় আন্ড্রে শ্যুর্লে'কে ছাড়া চেলসি মঙ্গলবার স্টেউয়া বুখারেস্ট'কে হারাতে পারত না, বলে চেলসির কোচ জোসে মুরিনিও'র ধারণা৷ ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ'ও লাল কার্ড পেয়ে গ্যালারিতে বসা অবস্থায় দেখতে পারতেন না, তাঁর স্টার স্ট্রাইকার লেভানডোভস্কি কিভাবে অলিম্পিক মার্সেই'এর বিরুদ্ধে দু'টি গোল করল৷ মার্কো রয়েস মাঝের গোলটি করার ফলে ক্লপের এ'দিন আক্ষেপ করার মতো কিছু থাকেনি৷
শালকে'র বিশ বছর বয়সি ফুটবল প্রতিভা ইউলিয়ান ড্রাক্সলার'ও সুইজারল্যান্ডের বাসেল'এ কিছু চোখ-ধাঁধাঁনো ড্রিবল করে শুধু মন কাড়েনি, একটি অসাধারণ গোল করে শালকের ১-০ জয়ও নিশ্চিত করেছেন৷ ও হ্যাঁ, খেলায় একটি অপ্রত্যাশিত বাধা কি বিরতির অবতারণা ঘটান গ্রিনপিস পরিবেশ সংরক্ষণ সংগঠনের অ্যাক্টিভিস্টরা৷ তারা ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে নেমে একটি ব্যানার খোলে, যা'তে রুশ তেলের কোম্পানি গ্যাজপ্রম'এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল৷ আর শালকে ফ্যানরা যে নিষেধ সত্ত্বেও স্টেডিয়ামে আতশবাজি পুড়িয়েছে, সেটা নিয়েও তদন্ত হবে৷
এসি / জেডএইচ (রয়টার্স)