ছাত্রদলের কমিটিতে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী
৮ জুন ২০১৩শনিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান অভিযোগ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ২৯১ জনের মধ্যে ৭০ জনই ছাত্রজীবন শেষ করে চাকরি জীবনে প্রবেশ করেছেন৷ তাদের মধ্যে বিসিএস কর্মকর্তা, ব্যাংক, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা রয়েছেন৷ সাইদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তাদের তালিকা এবং কে, কোথায় আছেন তার বিস্তারিত প্রকাশ করেন৷ তিনি অভিযোগ করেন ঢাকার নবাবপুরে এক দোকান মালিক খোরশেদ আলমকেও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে৷
তিনি অভিযোগ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা অবৈধভাবে অছাত্রদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকিয়েছেন৷ তাদের মধ্যে বিএনপি নেতার গাড়ি চালক, বাসার কর্মচারি এবং প্রবাসি ব্যবসায়ীও আছেন৷ তিনি দাবি করেন কমিটিতে পদ দেয়ার জন্য আর্থিক লেনদেন হয়েছে৷ এর অডিও সিডিসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ তাদের হাতে আছে৷ তাঁর দাবি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ২৯১ জনের মধ্যে ১৬৯ জনই অছাত্র৷
সাইদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, পাঁচ মাস আগে যখন কমিটি গঠন হয় তখনই তাঁরা এর প্রতিবাদ করেছেন৷ এরপর নানা মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে বিষয়টি জানালেন৷ তাঁরা বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে এই কমিটি ভেঙে ছাত্রদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন৷ অছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠনের নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে৷
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের জুয়েলের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷ তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান তাঁরা অভিযোগের কথা শুনছেন৷ বিস্তারিত অভিযোগ জেনে তার যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি৷ তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর প্রয়োজনে গঠন করা হবে৷
অভিযোগকারীদের সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাবেক কমিটির ৩০-৩৫ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন৷