1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিপ্রাস-এর দ্বিতীয় সনদ

স্পিরোস মস্কোভু/এসি২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গ্রিসে আবার নির্বাচন৷ এবারও জিতলেন জনপ্রিয় গণনেতা আলেক্সিস সিপ্রাস৷ দলের চরম বামপন্থি প্রশাখার বিদ্রোহীদের বিদায় করতে পেরেছেন তিনি৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে পারবেন কি?

https://p.dw.com/p/1GZiU
Griechenland Athen Wahlen Alexis Tsipras
ছবি: Getty Images/AFP/A. Tzortzinis

গত জানুয়ারি মাসেই গ্রিসের ভোটারদের একটি বড় অংশ সিরিজা জোটের নেতাকে ভোট দিয়েছিলেন এই আস্থায় যে, বিগত পাঁচ বছরের ব্যয়সংকোচ নীতির সামাজিক ফলশ্রুতি তিনি কিছুটা সহনীয় করে তুলতে পারবেন৷ বস্তুত সিপ্রাস তখন সাশ্রয় নীতির অন্ত ঘোষণা করেন৷ কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হয়নি৷ বেশ কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েনের পর সিপ্রাসকে শেষ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দাতাবর্গের সঙ্গে একটি তৃতীয় আর্থিক সাহায্যের চুক্তি করতে হয় – এবং সেই পন্থায় ইউরোজোন থেকে গ্রিসের অসময়ে বিদায় নেওয়া রোখা সম্ভব হয়৷

Infografik Sitzverteilung Griechisches Parlament Englisch
আসন বণ্টন

এবার সিপ্রাস জনগণের কাছ থেকে একটি দ্বিতীয় সনদ পেলেন৷ গ্রিকদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দৃশ্যত সিপ্রাসের বাস্তববোধে সম্মত এবং তিনি যে সামাজিক দুঃখকষ্ট ন্যূনতম পর্যায়ে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনে সক্ষম, এই বিশ্বাস রাখেন৷ ওদিকে সিরিজা (বানানভেদে সিরিসা) থেকে যে দলছুট বামপন্থিরা বেরিয়ে গেছেন, তারা সংসদে আসনগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের বেড়া পর্যন্ত পার হতে পারেননি৷

Moskovou Spiros Kommentarbild App
স্পিরোস মস্কোভু, ডয়চে ভেলে

প্রথম সিপ্রাস = দ্বিতীয় সিপ্রাস?

তবুও প্রশ্ন উঠতে পারে, সিপ্রাস ও তার চরম বামপন্থি ভারমুক্ত সিরিজা দল গ্রিসের আধুনিকীকরণ ঘটাতে সমর্থ কিনা৷ বিগত পাঁচ বছরে পাঁচ-পাঁচটি বিভিন্ন রাজনীতি ও জোটের সরকার সেই অসাধ্যসাধন করতে গিয়ে ঘায়েল হয়েছেন৷ ওদিকে ঋণদাতাদের দাবির কোনো নড়চড় নেই: কার্যক্ষম পাবলিক সেক্টর, প্রতিযোগিতার উপযোগী বেসরকারি অর্থনীতি, দুর্নীতি ও কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযান৷ প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলি তা করতে পারেনি এবং সিরিজা-ও ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রথম সাত মাসে এ সব ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য দেখাতে পারেনি৷ বরং প্রথম সিরিজা সরকার খানিকটা অতীতমুখো মনোভাব প্রদর্শন করে যেখানে পেরেছেন, দরাজ হাতে ভরতুকি বিলিয়েছেন৷

দ্বিতীয় সিপ্রাস সরকারের নীতি কি আলাদা হবে? সম্ভবত নয়৷ নির্বাচনের দিন সন্ধ্যাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, সিপ্রাস কিভাবে তাঁর সরকারের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যবস্থা করবেন৷ পূর্বাপর তাঁর জোট সহযোগী হবে পানোস কামেনোস-এর দক্ষিণপন্থি ‘‘স্বাধীন গ্রিক’’ গণদল৷ দৃশ্যত সিপ্রাস সামাজিক গণতন্ত্রী পাসক বা মধ্যমপন্থি ‘তো পোতামি’-র মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষপাতী দলগুলিকে সরকারে আনার কথা বিবেচনা পর্যন্ত করেননি৷ সিপ্রাস দৃশ্যত দেশের পরিস্থিতির টেকসই উন্নতির জন্য কোনো প্রশস্ত রাজনৈতিক ভিত্তির খোঁজ করছেন না৷ একদিকে তিনি বামপন্থিদের নৈতিক ও রাজনৈতিক সততার সাফাই গাইছেন; অন্যদিকে তিনি দক্ষিণপন্থিদের সঙ্গে জোট বাঁধছেন৷

পুরনো কাসুন্দি

সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে সিপ্রাস স্বীকার করেছেন যে, আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে মাসের পর মাস আলোচনায় তিনি ‘‘অর্থের ক্ষমতা’’ উপলব্ধি করতে পেরেছেন৷ ‘ক্যারিসম্যাটিক’ কিন্তু অনভিজ্ঞ সিপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোয় গ্রিসের আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পেরেছেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে৷ তাঁর মান্ধাতার আমলের বামপন্থি বাগাড়ম্বর, গ্রিসের পুরনো পোড় এবং মার খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলির কায়দায় যেন-তেন-প্রকারেণ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা, যেভাবে তিনি অবলীলাক্রমে জনগণের একটি বড় অংশের জীবনযাত্রার মান বিপন্ন করতে চলেছেন – এ সব দেখে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশেষ আশার উদ্রেক হয় না৷ গ্রিসের ইতিহাসে এই প্রথম যে ৪৫ শতাংশ ভোটার আদৌ ভোট দিতে যাননি, সেটাও একটা লক্ষণ বটে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য