জর্জিয়া ইস্যুতে কিছুটা নমনীয় রাশিয়া
৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮গত মাসে জর্জিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে পাঁচদিনের সশস্ত্র সংঘর্ষ চলার পর উভয় পক্ষ একটি অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয়েছিলো৷ ছয় দফার এ অস্ত্র বিরতি চুক্তিতে উভয় পক্ষ থেকে কোন ধরনের জোর প্রয়োগে বিরত থাকার কথা বলা হয়৷ এছাড়া আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়া থেকে দু পক্ষের সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়ার কথাও রয়েছে এ চুক্তিতে৷
তবে জর্জিয়ার বন্দর পোটি থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়নি রাশিয়া৷ চুক্তি অনুযায়ী আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও জর্জিয়া৷ মুলত এ চুক্তির পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতেই এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দুতিয়ালি করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি৷ তবে আগে থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান ছিলো জর্জিয়ার অখন্ড সার্বভৌমত্বের প্রতি৷ ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিরও অবস্থান সেদিকে৷ রাশিয়া পৌছার আগে তার কথাতেও ছিলো তেমন সুর৷
তবে সোমবার বৈঠকের পর পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷ কারণ ইতিমধ্যে রাশিয়া জর্জিয়ার পোটি বন্দর থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে সেনা সরাতে রাজি হয়েছে৷ এদিন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি৷ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে আগামী এক মাসের মধ্যে রাশিয়া জর্জিয়ার মুল ভুখন্ড থেকে তার সেনাবাহিনী সরাতে সম্মত হয়েছে৷ এদিকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ফরাসী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত জানিয়ে বলেছেন, জর্জিয়ার দু প্রদেশ আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর জেনেভায় শুরু হবে৷ এদিকে একইদিন রাশিয়ার সঙ্গে ইইউর অংশিদারিত্ব ও সহযোগিতামূলক চুক্তি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷
এদিকে জর্জিয়া সংকট কাটাতে না পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷ বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা এখন এমন এক বিশ্বে বাস করছি যেখানে প্রতিপক্ষের চেয়ে সহযোগীর প্রয়োজন বেশী৷ এটা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
এদিকে আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়াতে রাশিয়া মানবাধিকার লংঘন সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতে প্রথম শুনানি হয়েছে৷ পরবর্তী দুদিনও এ শুনানী চলবে৷