1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘে প্যালেস্টাইনের স্বীকৃতিকে ঘিরে প্রবল উত্তেজনা

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১

বাস্তবে নয়, শুধু কাগজে কলমে প্যালেস্টাইনকে জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদার সদস্য করার উদ্যোগকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক স্তরে যে অভূতপূর্ব উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে, তার আলোকে ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের দুশ্চিন্তা বেড়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/12c6B
জাতিসংঘে প্যালেস্টাইনের শূণ্য চেয়ারছবি: picture alliance/dpa

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদার সদস্য হিসেবে প্যালেস্টাইনের স্বীকৃতি চান৷ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের যে অধিকার ছিল, সেই সীমানার মধ্যেই তিনি নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চাইছেন৷ আব্বাস এমনকি ইসরায়েলের উদ্দেশ্যেও এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে আপাতত এই আবেদনের শুধু প্রতীকি তাৎপর্যই রয়েছে৷ তিনি বা ফিলিস্তিনি পক্ষের কেউই আশা করে না, যে এর ফলে রাতারাতি বাস্তবেও সেই সীমানার মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্ম হবে৷ আব্বাসের মতে, জাতিসংঘের স্বীকৃতির সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়ার কোনো যোগসূত্র নেই৷ আগে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিক, তারপর আলোচনার মাধ্যমেই বাস্তবে চূড়ান্ত রফা হতে পারে৷

Flash Galerie Abbas Rede Ramallah
যাবতীয় আশঙ্কা সত্ত্বেও বদ্ধপরিকর মাহমুদ আব্বাসছবি: dapd

সাফল্যের সম্ভাবনা

কোনো রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদার সদস্য করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়৷ সেখানে ১৫ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ৯টি দেশকে প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানাতে হবে৷ তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্য কোনো দেশ ভেটো প্রয়োগ করলেও সেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা এড়ানো প্রায় অসম্ভব বলা চলে৷

জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা

প্যালেস্টাইন জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে আপাতত মাঠ পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন হবে না ঠিকই, কিন্তু এমন এক পদক্ষেপের নানা জটিল দিক রয়েছে৷ জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে প্যালেস্টাইন ইসরায়েলকে পদে পদে অপদস্থ করতে পারবে৷ এমনকি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে গিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানাতে পারে প্যালেস্টাইন৷ তাছাড়া এর ফলে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে৷ বর্তমানে সেই প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভবিষ্যতে আলোচনার মাধ্যমে দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক এক সমাধানসূত্র উঠে আসবে, তারই আশায় দিন গুনছে বিশ্ব৷ মোটকথা একতরফাভাবে নেওয়া কোনো পদক্ষেপ যে বাস্তবে সংকট সমাধানের বদলে সংকট আরও জটিল করে তুলবে, এমনটাই মনে করছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ এমনকি খোদ আব্বাসও এমন এক সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন৷

NO FLASH Merkel Abbas Deutschland gegen UN Inititative in Palästina
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও আব্বাসকে এমন পদক্ষেপ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেনছবি: picture alliance/dpa

কূটনৈতিক স্তরে অস্বস্তি

বিষয়টা ভোটাভুটি পর্যন্ত গড়ালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যকে এই প্রশ্নে অবস্থান নিতে হবে৷ প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভোট দিলে ইসরায়েল ও অ্যামেরিকার মতো দেশের রোষের মুখে পড়তে হবে৷ না দিলে আরব জগত সহ বিশ্বের একটা বড় অংশের জনমতের সমালোচনা শুনতে হবে৷ ভোটদানে বিরত থাকলে হয়তো দুই পক্ষেরই বিরক্তির মুখে পড়তে হবে৷ এই অবস্থায় জার্মানির মতো দেশ এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে এমন সংঘাত এড়াতে প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য