মিয়ানমারের গণহত্যার শুনানি ডিসেম্বরে
১৯ নভেম্বর ২০১৯দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি করা হবে৷
আফ্রিকার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য জরুরি আদেশ দিতে বলবে৷ দেশটির আইনজীবীরা বলছেন, তারা চান রোহিঙ্গাদের যেন আর কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য যেন আইসিজে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে
রোহিঙ্গাদের গণহত্যার দায়ে গত ১১ নভেম্বর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের দি হেগের দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-তে মামলা করে গাম্বিয়া৷ ইসলামি কো-অপারেশনের ৫৭টি দেশের পক্ষে তারা এই মামলা করেছে বলে জানিয়েছে৷
মিয়ারমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তি বিধানে ১৯৮৪ সালে স্বাক্ষরিত কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ১৯৫৬ সালে ওই জেনোসাইড কনভেনশনে সই করে মিয়ানমার৷ এছাড়া দেশটির বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কথা বলা হয়৷
২০১৭ সালের ২৫ আগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় বিদ্রোহীদের হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান৷ তখন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা চলে আসেন৷ গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেন, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ৷
আইসিজে হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ; ১৯৪৫ সালে গঠনের পরের বছর থেকে এই আদালত কার্যকর রয়েছে৷
রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনতে ১০টি সংগঠন গাম্বিয়াকে সহায়তা করছে, তাদের একটি হলো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)৷
এইচআরডব্লিউর পরিচালক পরম-প্রিত সিং এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘‘গাম্বিয়ার এই আইনি পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলো৷ এখন আদালত রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে৷’’
এসআই/এসিবি (এএফপি)