হরতালে বিএনপির সমর্থন নেই
১০ জুন ২০১৩জামায়াতের সোমবারে হরতাল আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ নেতাকে দণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে৷ তারা হলেন জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপি এবং সেলিম উদ্দিন৷
এই হরতালে তেমন সাড়া মেলেনি৷ ঢাকার জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক ছিল৷ জামায়াতের হরতালের সমর্থনে ঢাকায় জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের মিছিল বা পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি৷ পুরনো ঢাকায় কিছুটা পিকেটিং-এর চেষ্টা করলে পুলিশ ৫ শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে৷
এদিকে শাহবাগে জাগরণ মঞ্চের জামায়াতের হরতাল বিরোধী মিছিলের পর সেখানে ২টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়৷ এই বিস্ফোরণের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করা হয়েছে৷
ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জে হরতাল সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়৷ তাদের ককটেল হামলায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷ তারা সেখানে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে৷
এদিকে জামায়াতের সোমবারের হরতালে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কোনো সমর্থন দেয়নি৷ বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘জামায়াত হরতাল ডেকেছে তাদের নিজস্ব বিষয় নিয়ে৷ ১৮ দলীয় জোট যে দাবিতে আন্দোলন করছে, তার সঙ্গে এই দাবির কোন সম্পর্ক নেই৷ জামায়াত হরতাল ডাকার আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেনি, চায়নি জোটের সমর্থন৷ ফলে সমর্থন দেয়ার প্রশ্ন আসেনা৷ আর জোটভুক্ত যে কোনো দল চাইলে তাদের নিজ দলীয় দাবিদাওয়া নিয়ে আলাদা আন্দোলন করতে পারে, কর্মসূচি দিতে পারে, এতে কোন বাধা নেই৷''
জামায়াতের এই হরতাল কেন ঢিলেঢালা – তা জানতে জামায়াতের কোন নেতাকেই পাওয়া যায়নি৷ তবে জানা গেছে, জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এখন কারাগারে৷ মধ্যম সারির নেতা, যারা এখনো কারাগারে যাননি, তারা আছেন আত্মগোপনে৷ সারা দেশে জামায়াত শিবিরের কর্মীদের বড় একটি অংশও এখন কারাগারে আছে৷ ফলে হুংকার বড় হলেও হরতাল সফল করার মত শক্তি এখন আর তাদের নেই৷ তবে জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে হরতাল সফলের দাবি করা হয়েছে৷ সেখানে হরতাল এবং হরতালের সমর্থনে তাদের কর্মতত্পরতার খবর আছে৷ তারা এখন হরতালসহ নানা কর্মসূচিও ঘোষণা করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে৷
এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জামায়াতের এমপি হামিদুর রহমান আযাদের ৩ মাসের কারাদণ্ড হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্যপদ হারাতে পারেন৷ হামিদুর রহমান আযাদ এখন পলাতক আছেন৷
(প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিগুলো ফাইল থেকে নেয়া)