1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান দল থেকে বাদ পড়বেন ও্যজিল?

৯ জুলাই ২০১৮

বিশ্বকাপের আগেই উঠেছিল তাঁকে বাদ দেয়ার দাবি৷ সেবার মেসুট ও্যজিলকে রক্ষা করেছিলেন কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ কিন্তু বিশ্বকাপে জার্মানির ভরাডুবির পর আশঙ্কাটা আরো বড় হয়ে উঠেছে৷ খোদ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির কথাতেই যে সেরকম ইঙ্গিত!

https://p.dw.com/p/314g6
ছবি: Reuters/M. Dalder

গত মে মাসে সম্পূর্ণ ফুটবলের বাইরের এক ঘটনায় অনেক জার্মানের আস্থা হারিয়েছিলেন ও্যজিল৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ান তখন রাষ্ট্রীয় সফরে ইংল্যান্ডে৷ লন্ডনের এক হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান ফুটবলার ও্যজিল৷ আরো দুই তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইলকায় গুনডোয়ান এবং জেংক টসুন-ও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷ সেই সাক্ষাতের পর তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তাঁরা৷ টসুন জাতীয় দল হিসেবে তুরস্ককে বেছে নেয়ায় তাঁকে নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি৷ বাকি দু'জনের মধ্যে ও্যজিলকে নিয়ে বিতর্কটা বেশি হয়েছে, কারণ, তিনি জার্মান দলের অন্যতম সিনিয়র এবং নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়৷

এর্দোয়ানের সঙ্গে তাঁদের ছবি দেখে জার্মানির ফুটবলামোদীরা যখন, ও্যজিল এবং গুনডোয়ানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ, তখনই জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রাইনহার্ড গ্রিন্ডেল টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘ফুটবল এবং ডিএফবি যেসব মূল্যবোধ ধারণ করে, জনাব এর্দোয়ান সেগুলো পুরোপুরি গ্রহণ করেননি৷ ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের তাঁর (এর্দোয়ানের) নির্বাচনি প্রচারণায় নিজেদের ব্যবহৃত হতে দেয়ার বিষয়টি ঠিক নয়৷ এই কাজটি করে আমাদের খেলোয়াড়রা ইন্টিগ্রেশন বিষয়ে ডিএফবির করা কাজে সহায়তা করেননি৷'' 

তারপর ও্যজিল এবং গুনডোয়ানের বিরুদ্ধে ডিএফবির কঠোর পদক্ষেপ অনেকটা অবশ্যম্ভাবীই মনে হচ্ছিল৷ কিন্তু কোচ ল্যোভের কারণে ও্যজিলের ক্যারিয়ারে মাঠের বাইরের ঘটনাটা তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি৷ ল্যোভ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগে রাজনৈতিক কোনো বিষয় তাঁর দলের ক্ষতি করুক, তা তিনি চান না৷

কিন্তু ১৯৩৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবারের মতো জার্মানি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়ায় ল্যোভের অবস্থানই নড়বড়ে৷ তাঁর কোচ থাকা অবশ্য নিশ্চিত করেছে ডিএফবি৷ কিন্তু বিশ্বকাপে যাঁদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল, তাঁদের দল থেকে বাদ দেয়ার দাবি উঠছে প্রায় সব মহল থেকে৷ দাবিটা সবচেয়ে বেশি উঠেছে ও্যজিলের ক্ষেত্রে৷ দু'দিন আগে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি-র ম্যানেজার ওলিভার বিয়েরহফ বলেছেন, ও্যজিলকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়াই ঠিক হয়নি৷

রবিবার জার্মানির ফুটবল বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘কিকার'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডিএফবি সভাপতি রাইনহার্ড গ্রিন্ডেলও দিয়েছেন জার্মানির হয়ে ৯২টি ম্যাচ খেলা ও্যজিলের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত৷ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশের পর লন্ডনে এর্দোয়ানের সঙ্গে ছবি তোলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘‘অনেক ভক্তই হতাশ, কেননা, (ও্যজিলের জন্য) তাঁদের প্রশ্ন ছিল এবং তাঁরা আশা করেছিলেন প্রশ্নের উত্তরটা দেয়া হবে৷ আমি মনে করি, ছুটি কাটিয়ে ফিরলে নিজের ভালো-মন্দ বিবেচনায় রেখেই তাঁর উচিত নিজের বক্তব্য তুলে ধরা৷ ''

এদিকে এমন আলোচনা শুনে ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ও্যজিলের বাবা মুস্তাফা৷ তাঁর মতে, ও্যজিলকে এখন ‘বলির পাঁঠা' বানানো হচ্ছে৷ জার্মানির বিল্ড পত্রিকাকে তিনি জানান, ‘‘সে (ও্যজিল) খুব হতাশ এবং অপমানিত বোধ করছে৷'' ও্যজিলের বাবা আরো বলেছেন, এমন আলোচনা-সমালোচনা তাঁকে নিয়ে হলে তিনি ও্যজিলের মতো এতকিছু সহ্য না করে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ফেলতেন৷

এড ম্যাকক্যামব্রিজ/এসিবি