1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানরা বিদেশিদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন: সমীক্ষা

১৪ ডিসেম্বর ২০১১

বিদেশিদের ব্যাপারে জার্মানদের মনোভাব কীরকম? এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তফাতটাই বা কোথায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায়৷

https://p.dw.com/p/13S66
Workers hunch over sewing machines in the Shining Century textile factory in Maseru, Lesotho, Tuesday, March 2, 2004. The rapid growth of factories like Shining Century has made the tiny mountain kingdom of Lesotho a poster child for a three and a half year old trade law aimed at encouraging economic development in Africa by dropping tariffs on many products exported to America. (AP Photo/Ben Curtis) Für Projekt : Destination Europe Mangelnde Perspektiven und große Träume
জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীছবি: picture alliance/dpa

ইউরোপের দশটি প্রতিবেশী দেশের মানুষদের তুলনায় জার্মানরা বিদেশিদের প্রতি সবচেয়ে বন্ধুভাবাপন্ন৷ কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে চালিত এই সমীক্ষায় এই ছবিটাই ধরা পড়েছে৷ বিদেশি বিদ্বেষ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়৷ সমীক্ষার ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, বিদেশিদের প্রতি, ইহুদিদের প্রতি বৈরী মনোভাব সবচেয়ে বেশি পোলিশদের মনে৷ এধরণের মনোভাব সবচেয়ে কম কিন্তু ডেনমার্কের মানুষদের মধ্যে৷

এই সমীক্ষা প্রকল্পের প্রধান প্রফেসর উলরিশ শ্মিট-ডেন্টার ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, নিজেদের সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখার প্রবণতা জার্মানদের মধ্যে বেশ প্রকট৷ যেমন তাঁরা বলেছেন যে, বিদেশিদের মধ্যে এমন অনেক ইতিবাচক গুণ আছে যা জার্মানদের নেই৷ ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের তুলনায় এরকম বক্তব্য বেশি শোনা গেছে জার্মানদের কাছ থেকে৷ নিজেদের সম্পর্কে এই-যে ধারণা, এটা নিজেদের দেশ, শহর, নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগটা দুর্বল করে দিচ্ছে আর এর ফলে বহু জার্মান দেশ ছেড়ে অন্য দেশে গিয়ে ঠাঁই গাড়তে প্রস্তুত বলে প্রফেসর শ্মিট-ডেন্টার মনে করেন৷ তিনি বলেন: ‘‘আর্থিক কারণে তাঁরা দেশ ছাড়তে চাইছেন, তা নয়৷ বরং বিদেশ তাদের কাছে বহু রকমের আশার হাতছানি দেয়৷ বলতে গেলে জার্মান হওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা চাপগুলো থেকে মুক্তি পেতেই বিদেশে পাড়ি দিতে চায় তাদের কেউ কেউ৷

teamwork © Franz Pfluegl #842686 fotolia
বিশ্বের নানা দেশের মানুষের মিলনকেন্দ্র জার্মানিছবি: Fotolia

সমীক্ষায় তরুণদের আলাদা করে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ এখানেও জার্মান তরুণদেরই বিদেশিদের প্রতি সবচেয়ে বন্ধুভাবাপন্ন বলে দেখা গেছে৷ তুলনায় তরুণ ফরাসিদের মধ্যে বিদেশিদের প্রতি বিরূপ মনোভাব বেশ জোরালো৷ বিদেশিদের প্রতি বন্ধুসুলভ মনোভাবের ক্ষেত্রে একেবারে নীচের স্থানটি ডাচ তরুণদের ভাগে পড়েছে৷ এটাকে অধ্যাপক শ্মিট-ডেন্টার নেদারল্যান্ডস-এর তরুণদের মন ও মানসে এক ধরনের ‘বিপ্লব' বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এক সময় অভিবাসীদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে ডাচদের অনুকরণীয় মডেল হিসেবে দেখেছি আমরা৷ কিন্তু সেদিন আর নেই৷''

পাশাপাশি আর একটি সমীক্ষার ফলও বেরিয়েছে সদ্য৷ এই সমীক্ষাটি চালান জার্মানির বিলেফেল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ভিলহেল্ম হাইটমায়ার-এর নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল৷ সমাজে সংখ্যালঘু মানুষদের প্রতি বিরূপ মনোভাব কতটা তা লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা দীর্ঘ দশ বছর ধরে৷ ২০০০ জনকে টেলিফোন করে মতামত জানতে চাওয়া হয়৷ দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরূপ মনোভাব বেশ কমে গেছে৷ ২০০২ সালে যেখানে ৮০ শতাংশ মানুষ সমকামী বিয়ে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত প্রকাশ করে, সেখানে ২০১১ সালে প্রতি পাঁচজনে একজন তা নিষিদ্ধ করতে চায়৷

নারীর ভূমিকা নিয়েও মত পাল্টেছে৷ দশ বছর আগে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করতেন - স্ত্রী আর মা-এর ভূমিকাতেই থাকা উচিৎ মেয়েদের৷ এখন প্রতি পাঁচজনে একজন এই মত পোষণ করে৷ তবে গৃহহীন হয়ে পড়া এবং সামাজিক ভাতার ওপর নির্ভরশীল মানুষদের প্রতি বিরূপ মনোভাব বেড়েছে৷ সমীক্ষাধীন উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি মনে করে, দীর্ঘদিন ধরে বেকার যারা, কাজ করার কোন আগ্রহ তাদের নেই৷ প্রতি তিনজনের একজন মনে করে, গৃহহীন যারা তারা আসলে কাজকর্ম করতেই নারাজ৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য