1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত ফেরতের আহ্বান সিডিইউর

৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জার্মানির রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দলের প্রধান আরো কয়েকটি জার্মান রাজ্যকে "নিরাপদ" হিসাবে স্বীকৃতি দিতে চান৷ ফলে যাদের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের জার্মান কর্তৃপক্ষ দ্রুত ফেরত পাঠাবে বলে মনে করেন তিনি।

https://p.dw.com/p/4Vtoo
বিরোধী রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ মেয়ার্স নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন
বিরোধী রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ মেয়ার্স নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেনছবি: Jens Krick/Flashpic/picture alliance

বিরোধী রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ মেয়ার্স নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এর ফলে যাদের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, জার্মান কর্তৃপক্ষের জন্য তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সহজ হবে।

রোববার ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপের পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলত্‍স সরকার জর্জিয়া এবং মলদোভাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ে তথাকথিত নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোরপরিকল্পনার ঘোষণার পরই সিডিইউ প্রধানের এই মন্তব্যটি সামনে এসেছে৷ তবে এ বিষয়ে নতুন সংযোজনগুলো জার্মান সংসদে অনুমোদিত হতে হবে।

মেয়ার্স কী বললেন?

সরকারের পরিকল্পনায় উল্লেখ করা দুটি দেশ ছাড়াও,তিনি তালিকাটি সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানান।

মধ্য ডানপন্থি এই রাজনীতিবলেন, "আমরা আশ্রয় মঞ্জুর করি৷ এখানে আসা সারা বিশ্বের নিপীড়িতদের সাহায্য করি আমরা৷ তবে অতিরিক্ত কিছুর প্রয়োজন নেই৷ আমরা যা করতে পারি তার সীমা রয়েছে আর সেই সীমা বর্তমানে পেরিয়ে গিয়েছে।"

তিনি টিউনিশিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া এবং ভারতকে নিরাপদ দেশের সেই তালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন৷ তার কথায়, এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার হার "সর্বনিম্ন পরিমাণ" হিসাবে রাখতে হবে।

তার কথায়, "এই দেশগুলোকে অবশ্যই নিরাপদ দেশহিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে যাতে আমরা অবিলম্বে সেখানে প্রত্যাবাসন করতে পারি৷"

'সেফ কান্ট্রি অফ অরিজিন' বলতে কী বোঝায়?

যদি বার্লিন নির্দিষ্ট দেশগুলোকে "নিরাপদ" বলে মনে করে তাহলে স্থানীয় জার্মান কর্তৃপক্ষ সেইসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনগুলো নিয়ে দ্রুত কাজ এগোতে পারবে৷

এর অর্থ হলো, আবেদনকারীদের অবশ্যই যথাযথ কারণ প্রদর্শন করতে হবে৷ সাধারণত নিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে মনে করা হয় এমন দেশে কেন তারা ব্যক্তিগতভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বা কেন নিজের রাষ্ট্রে নিপীড়নের মুখোমুখি তার যথাযথ কারণ দেখাতে হবে।

যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের জন্য তাদের নির্বাসন বা প্রত্যাবাসন করা সহজ হবে।

বর্তমান তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, ঘানা, সেনেগাল, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো, মন্টেনেগ্রো এবং উত্তর মেসিডোনিয়া।

জার্মানিতে অভিবাসন বিতর্ক নতুন করে শুরু

এটি প্রথম নয়৷ আগেও জার্মান রাজনীতিবিদরা মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনিশিয়া এবং ভারতকেও তালিকায় যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এপ্রিলে মধ্য-বাম সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সদস্যরা মেয়ার্সের মতো একই অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

অধিকার গোষ্ঠী এবং সংস্থা যারা আশ্রয়-প্রার্থীদের সহায়তা প্রদান করে তারা প্রায়শই "নিরাপদ" তালিকায় থাকা বেশ কয়েকটি দেশের সমালোচনা করেছে৷ বিশেষ করে সে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং আইনি পরিস্থিতি, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষের অধিকারের সমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো তারা।

সাম্প্রতিক জনমত জরিপ থেকে বোঝা যায়, অভিবাসন এবং আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়েআবারো জার্মানির ভোটাররা উদ্বিগ্ন৷ অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের পরে এই উদ্বেগটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

সম্প্রতি জার্মানির অতি-ডান এএফডি দলের সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই দলটি নিয়মিত অভিবাসন বিরোধী প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালায়।

জার্মানিতে আশ্রয় আবেদন বাতিল হলেও কি থাকা যায়?

রেবেকা স্টাউডেনমায়ার/আরকেসি