1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড্রোন হামলায় জার্মানির মদত

২৩ অক্টোবর ২০১৩

পাকিস্তানে ড্রোন হামলার ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার সংগঠন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ করেছে৷ এক্ষেত্রে জার্মানির কি ভূমিকা ছিল, তা-ও জানতে চেয়েছে অ্যামনেস্টি৷

https://p.dw.com/p/1A4BS
FILE - A handout picture provided by Cassidian, the defence and security division of the EADS group, shows Europe's biggest unmannded aerial vehicle (UAV) or drone, Eurohawk, during the start of its first test flight in Manching, Germany, 11 January 2013. The UAV started its test flight over southern Germany at 10:36 CET and was scheduled to land in the afternoon, announced EADS arms manufacturing company Cassidian. The reconnaissance drone weighs 15 tons and has a 40 m wing span, more than an Airbus A320 passenger jet. The drone is controlled from a ground station in manching. EPA/CASSIDIAN HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES (zu dpa: Drohnen-Untersuchungsausschuss beginnt Zeugenvernehmung) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নামে নিজেদের ‘‘লাইসেন্স টু কিল'' বা হত্যার খোলা সনদ দিয়েছে, বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি৷ অ্যামনেস্টির বিবরণে আরো বলা হয়েছে, জার্মানি তার গুপ্তচর বিভাগের গোপন তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদান করে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোয় সাহায্য করেছে৷ পাকিস্তানি গুপ্তচর বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নাকি অ্যামনেস্টিকে এ কথা জানিয়েছেন৷ জার্মানি নাকি সিআইএ-কে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মোবাইল টেলিফোনের নম্বর দিয়ে তাদের অবস্থান নির্ণয় করতে সাহায্য করছে৷

জার্মানি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় সরকারের কাছে অ্যামনেস্টির দাবি, তারা পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিজের নিজের ভূমিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করুন৷ এই সব ড্রোন হামলা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী এবং ক্ষেত্রবিশেষে যুদ্ধাপরাধ বলেও গণ্য হতে পারে, বলে অ্যামনেস্টি অভিমত প্রকাশ করেছে৷ জার্মান সরকার বড় বেশিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাফাইয়ের উপর নির্ভর করেছেন৷ জার্মান সরকারের উচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জরুরিভাবে দাবি করা যে, আন্তর্জাতিক আইন যেন ভঙ্গ না করা হয়৷

অ্যামনেস্টির কর্মীরা ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট অবধি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান এলাকায় যে ৪৫টি ড্রোন হামলা ঘটেছে, সেগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ বিশেষ করে প্রথম ড্রোন হামলার পর পরই দ্বিতীয় ড্রোন আক্রমণে ঠিক সেই মানুষরাই হতাহত হন, যাঁরা আহতদের সাহায্য করার জন্য অকুস্থলে ছুটে গেছেন, জানায় অ্যামনেস্টি৷ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে৷

২০১২ সালের জুলাই মাসে ১৮ জন গ্রামবাসী খেতে বসার সময় তাদের উপর ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়৷ ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে এক ৬৮ বছর বয়সি মহিলা ক্ষেতে কাজ করার সময় ড্রোনের আঘাতে নিহত হন – তাঁর নাতিনাতনীদের চোখের সামনে৷ জার্মান সরকার এ ধরনের ড্রোন হামলা শুধু সমর্থনই করেননি, বরং সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছেন, বলে অ্যামনেস্টির অভিযোগ৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য