ড্রোন হামলায় জার্মানির মদত
২৩ অক্টোবর ২০১৩মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নামে নিজেদের ‘‘লাইসেন্স টু কিল'' বা হত্যার খোলা সনদ দিয়েছে, বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি৷ অ্যামনেস্টির বিবরণে আরো বলা হয়েছে, জার্মানি তার গুপ্তচর বিভাগের গোপন তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদান করে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোয় সাহায্য করেছে৷ পাকিস্তানি গুপ্তচর বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নাকি অ্যামনেস্টিকে এ কথা জানিয়েছেন৷ জার্মানি নাকি সিআইএ-কে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মোবাইল টেলিফোনের নম্বর দিয়ে তাদের অবস্থান নির্ণয় করতে সাহায্য করছে৷
জার্মানি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় সরকারের কাছে অ্যামনেস্টির দাবি, তারা পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিজের নিজের ভূমিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করুন৷ এই সব ড্রোন হামলা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী এবং ক্ষেত্রবিশেষে যুদ্ধাপরাধ বলেও গণ্য হতে পারে, বলে অ্যামনেস্টি অভিমত প্রকাশ করেছে৷ জার্মান সরকার বড় বেশিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাফাইয়ের উপর নির্ভর করেছেন৷ জার্মান সরকারের উচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জরুরিভাবে দাবি করা যে, আন্তর্জাতিক আইন যেন ভঙ্গ না করা হয়৷
অ্যামনেস্টির কর্মীরা ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট অবধি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান এলাকায় যে ৪৫টি ড্রোন হামলা ঘটেছে, সেগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ বিশেষ করে প্রথম ড্রোন হামলার পর পরই দ্বিতীয় ড্রোন আক্রমণে ঠিক সেই মানুষরাই হতাহত হন, যাঁরা আহতদের সাহায্য করার জন্য অকুস্থলে ছুটে গেছেন, জানায় অ্যামনেস্টি৷ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে৷
২০১২ সালের জুলাই মাসে ১৮ জন গ্রামবাসী খেতে বসার সময় তাদের উপর ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়৷ ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে এক ৬৮ বছর বয়সি মহিলা ক্ষেতে কাজ করার সময় ড্রোনের আঘাতে নিহত হন – তাঁর নাতিনাতনীদের চোখের সামনে৷ জার্মান সরকার এ ধরনের ড্রোন হামলা শুধু সমর্থনই করেননি, বরং সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছেন, বলে অ্যামনেস্টির অভিযোগ৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)