1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষ তিনশ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে

২৯ নভেম্বর ২০২৩

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে জার্মানিতে প্রায় এক হাজার ইহুদিবিদ্বেষমূলক ঘটনা ঘটেছে৷ চরম সহিংস ঘটনাও রয়েছে তার মধ্যে৷

https://p.dw.com/p/4ZZaG
৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে দিনে গড়ে অন্তত ২৯টি ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে৷
২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে ইহুদিবিদ্বেষমূলক ঘটনা বেড়েছে ৩২০ শতাংশ, জানাচ্ছে এই প্রতিবেদনছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance

জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখে জার্মান সরকারের  রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন অন অ্যান্টিসেমেটিজম (আরআইএএস) বিভাগটি৷ তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় মঙ্গলবারে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়,  ৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে দিনে গড়ে অন্তত ২৯টি ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে৷

ইহুদিরা বাস করেন এমন বাসার দেওয়ালে বা রাস্তার দেওয়ালে বিদ্বেষপূর্ণ গ্রাফিটি আঁকা, এমনকি তাদের মারধর করার মতো ঘটনাও ঘটেছে এই সময়কালে৷

২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে ইহুদিবিদ্বেষমূলক ঘটনা বেড়েছে ৩২০ শতাংশ, জানাচ্ছে এই প্রতিবেদন৷

আরআইএএস জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে মোট ৯৯৪টি যাচাই হওয়া ঘটনাকে খতিয়ে দেখেছে তারা৷ এর মধ্যে আছে তিনটি চরম সহিংসতা, ২৯টি হামলা, ৭২টি নির্দিষ্ট সম্পত্তি ধ্বংস, ৩২টি হুমকি দেওয়া, ৪টি ইহুদিবিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য চিঠি আকারে গণহারে ছড়ানো, ৮৫৪টি ক্ষতিকর আচরণের অভিযোগ৷ 

ইহুদিবিদ্বেষের পেছনে থাকা অস্পষ্ট ধারণাসমূহ

৮৫৪টি ক্ষতিকর আচরণের মধ্যে রয়েছে ১৭৭টি ইহুদিবিদ্বেষী জমায়েতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷

জার্মানিতে ইহুদিবিদ্বেষপূর্ণ আচরণের পেছনে হামাস: আরআইএএস

১৭ অক্টোবর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে গুজব ছড়ায়৷ এমন বিভিন্ন গুজবের ফলেও জার্মানিতে বেড়েছে ইহুদিবিদ্বেষী আচরণ, জানাচ্ছে আরআইএএস৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ক্যানাডা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির বক্তব্য, তাদের গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এই হামলার সাথে ইসরায়েল যুক্ত নয়৷

৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করলে ইসরায়েল জবাবে গাজায় সামরিক অভিযান চালায় হামাসের বিরুদ্ধে৷ ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান জার্মানিতে বহু প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে৷ এর মধ্যে বেশ কিছু জমায়েত থেকে ইহুদিবিদ্বেষী স্লোগান দেবার বা আচরণের খবর উঠে এসেছে৷

আরআইএএস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেনিয়ামিন স্টাইনিটৎজ বলেন, ‘‘ইসরায়েলের সামরিক বাহিনির কার্যকলাপের তুলনায় হামাসের প্রপাগান্ডামূলক প্রচারের বেশি প্রভাব পড়েছে জার্মানির এমন আন্দোলনের সংখ্যা ও পন্থার ওপর৷''

বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জার্মানির ইহুদি শিক্ষার্থী ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হানা ফাইলার জানান যে, এমন আন্দোলনের সংখ্যা চিন্তার কারণ হলেও তাকে অবাক করছে না৷ তিনি বলেন, ‘‘কীভাবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে তরুণ ইহুদিদের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশেও ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিদিন বিকশিত হচ্ছে, তা তারা ক্রমাগতভাবে তুলে ধরছেন৷''

এসএস/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি)