1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বাস্তু আবাসনের উপর হামলা কমেছে

২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

২০১৭ সালে জার্মানিতে উদ্বাস্তু আবাসনের উপর আক্রমণের সংখ্যা  ২০১৬ সালের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কমেছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আক্রমণের সংখ্যা আজও ২০১৪ সালের তুলনায় অনেক বেশি৷

https://p.dw.com/p/2pueu
Berlin Flüchtlingsunterkunft Junge Fahrrad
ছবি: Imago/C. Mang

২০১৫ সালে জার্মানি লক্ষ লক্ষ অভিবাসীদের জন্য তার সীমান্ত খুলে দেয়৷ তার পর পর এদেশে উদ্বাস্তু আবাসনের উপর হামলার ঘটনা চরমে পৌঁছায়৷ কিন্তু সে যাবৎ ঐ সংখ্যা কমতির দিকে৷

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অবধি এ বছর জার্মানিতে উদ্বাস্তু আবাসনের উপর ২৬৪টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, বলে ফেডারাল ক্রিমিন্যাল পুলিশ অফিস (বিকেএ) জানিয়েছে৷ এই পরিসংখ্যান গত শুক্রবারের ‘ফ্রাংকফুর্টার রুন্ডশাউ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়

বিকেএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী তার মধ্যে ২৫১টি আক্রমণের জন্য দক্ষিণপন্থি চরমপন্থিরা দায়ী৷ বাকি ১৩টি ঘটনার জন্য পুলিশ এখনও কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধির সম্ভাবনা পুরোপুরি বাদ দিতে পারছে না৷

হামলার ঘটনাগুলির অধিকাংশ ছিল দেয়াল লিখন বা সম্পত্তির ক্ষতি৷ তবে অগ্নিসংযোগের ১৩টি ঘটনা ঘটেছে ও দু'টি ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে৷

তা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান এর আগের দু'বছরের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে কম৷ ২০১৬ সালে  কর্তৃপক্ষ উদ্বাস্তু আবাসনের উপর ৯৯৫টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত করেন, যার মধ্যে ১৬৯টি ঘটনায় সহিংসতার ভূমিকা ছিল৷

২০১৫ সালে উদ্বাস্তু আবাসনের উপর হামলার সংখ্যা ছিল ১,০৩১, যার প্রায় সব ক'টি ঘটনা ঘটে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে, জার্মানি সংঘাত পীড়িত মধ্যপ্রাচ্য থেকে পলাতক উদ্বাস্তুদের জন্য তার সীমান্ত খুলে দেবার পর৷

হামলার সংখ্যা পর পর দু'বছর কমলেও, উদ্বাস্তু সংকটের আগের পরিস্থিতির তুলনায় তা আজও অনেক বেশি৷ ২০১৪ সালে জার্মানিতে উদ্বাস্তু আবাসনের উপর আক্রমণের সংখ্যা ছিল ১৯৯; তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৩ সালে মাত্র ৬৯টি এই ধরণের ঘটনা ঘটে৷ এছাড়া উদ্বাস্তু সংকটের আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হামলার কারণ ছিল অরাজনৈতিক৷

বহু উদ্বাস্তু আবাসন খালি পড়ে রয়েছে

দু'বছর আগে উদ্বাস্তু সংকট যখন চরমে, তখন জার্মান কর্তৃপক্ষ দ্রুত নিত্যনতুন উদ্বাস্তু আবাসন খোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন৷ আজ কিন্তু সেই সব আবাসনের অনেকগুলি খালি পড়ে রয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে৷ এর কারণ, জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের আগমন কমেছে৷ ২০১৭ সালের প্রথম ছ'মাসে প্রায় ৯০,০০০ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী জার্মানিতে আসেন; বাকি ছ'মাসেও তাদের সংখ্যা মোটামুটি একই থাকবে, বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে – যা কিনা এর আগের বছরগুলির তুলনায় অনেক কম৷

মুশকিল এই, যে এর ফলে বহু উদ্বাস্তু আবাসন খালি পড়ে থাকছে – যেমন নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের উদ্বাস্তু আবাসনগুলির এক-তৃতীয়াংশ খালি পড়ে রয়েছে, বলে ডাব্লিউডিআর টেলিভিশন সংস্থা জানিয়েছে৷ ওদিকে এই খালি উদ্বাস্তু আবাসনগুলির দেখাশোনার খরচ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ দ্বিতীয়ত, উদ্বাস্তুদের দেখাশোনার জন্য রাজ্যের নগর প্রশাসনগুলি উদ্বাস্তু প্রতি ১০,৪০০ ইউরো অনুদান পেয়ে থাকে৷ কম উদ্বাস্তু আসার অর্থ, এই বরাদ্দও কমবে৷ অপরদিকে যে সব উদ্বাস্তু জার্মানিতে অবস্থানের অধিকার পেয়েছেন, তাদের জন্য সুযোগ্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করাটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷

সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে যে, উদ্বাস্তু আবাসনের উপর হামলা কমার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত উদ্বাস্তুদের আগমনের সংখ্যা কমা৷ অপরদিকে উদ্বাস্তুদের স্থায়ী আবাসনের সমস্যাটা নতুন আকার ধারণ করেছে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, ইপিডি)