জার্মানিতে এর্দোয়ানের প্রতিমূর্তি সরিয়ে ফেলা হলো
২৯ আগস্ট ২০১৮এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, যেহেতু প্রতিমূর্তিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না, তাই এটি সরিয়ে ফেলা হবে৷
জার্মানির সরকারি প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনগণের কাছ থেকে ভাস্কর্যটি ‘রক্ষা' করতে পুলিশকে কাজ করতে হয়েছে৷ এছাড়া ‘প্রচণ্ড বিবাদে' লিপ্ত কয়েকজন কুর্দি ও তুর্কি-জার্মানকেও আলাদা করে দেয় পুলিশ৷
শহর কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, ‘‘এটি (প্রতিমূর্তি) একটি শিল্পকর্ম ছিল, ‘ভিসবাডেন বিয়ানালে ফর কনটেম্পরারি আর্ট' এর অংশ৷ তবে শহর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল৷'' এই বছরের আর্ট উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘খারাপ খবর'৷
ঐ মুখপাত্র আরো জানান, তাঁরা কয়েকজন বিভ্রান্ত নাগরিকের কাছ থেকে টেলিফোন পেয়েছেন৷ ভাস্কর্যটি যে বিয়ানালের অংশ, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না৷
স্থানীয় পত্রিকা ‘ভিসবাডেনার কুরিয়ার' বলছে, শহর কর্তৃপক্ষ ভাস্কর্যটির অনুমোদন দিয়েছিল, তবে সেটি যে এর্দোয়ানের হবে, তা তাঁরা জানতেন না৷
এদিকে, ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার একটি ভিডিও ক্লিপ টুইটারে প্রকাশ করেছে ভিসবাডেন পুলিশ৷
ভিসবাডেন শহরে স্থাপিত ঐ ভাস্কর্যে এর্দোয়ানকে তাঁর ডান হাত উপরে তোলা অবস্থায় দেখা গেছে৷ প্রতিমূর্তিটি দেখতে অনেকটা ইরাকের সাবেক নেতা সাদ্দাম হুসেনের একটি ভাস্কর্যের মতো ছিল, যা মার্কিন বাহিনী ২০০৩ সালে ভেঙে ফেলে৷
এর্দোয়ানের ভাস্কর্য স্থাপনের পর স্থানীয় কয়েকজন উৎসাহী তুর্কি-জার্মানকে ঐ প্রতিমূর্তির সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে৷ তবে স্থানীয় কুর্দ ও অন্যরা একজন কর্তৃত্ববাদী নেতার প্রতি সমর্থন প্রকাশের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন৷
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের আগামী মাসে বার্লিন সফরের কথা রয়েছে৷ তবে তাঁর কর্তৃত্ববাদী আচরণের জন্য অনেক জার্মান এই সফরের বিরোধিতা করছেন৷
আপনার কোনো মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, ডিপিএ)