দিন ১০ জন শরণার্থী হামলার শিকার?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭সংসদীয় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এসব হামলায় ৪৩ জন শিশুসহ ৫৬০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন৷ সরকার এসব হামলার ‘কঠোর সমালোচনা' করছে বলে ঐ চিঠিতে লেখা আছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি চিঠিটি দেখেছে বলে জানিয়েছে৷ ‘‘যারা প্রাণ বাঁচাতে তাদের দেশ থেকে পালিয়ে নিরাপত্তার জন্য জার্মানিতে এসেছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে'', চিঠিতে লিখেছে মন্ত্রণালয়৷
পুলিশের বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৬ সালে ২,৫৪৫ জন শরণার্থীর উপর এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উপর ৯৮৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এর মধ্যে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ঘটনাও রয়েছে৷ ২০১৫ সালে আশ্রয়কেন্দ্রের উপর এক হাজারেরও বেশি হামলা হয়েছিল৷ তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৯৯৷
মন্ত্রণালয় বলছে, পুলিশের পরিসংখ্যানে না থাকলেও শরণার্থীদের সহায়তা করে এমন বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের উপর ২১৭টি হামলা হয়েছে৷
২০১৫ সালে জার্মানিতে প্রায় ৮ লক্ষ ৯০ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করে৷ সেই সময় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতির কঠোর সমালোচনা করায় ডানপন্থি পপুলিস্ট দল‘অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড' বা এএফডির সমর্থক সংখ্যা বেশ বেড়ে যায়৷
চরম বামপন্থি দল ডি লিংকের রাজনীতিবিদ উলা ইয়েল্পকে জার্মান এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারের শরণার্থীদের উপর এমন হামলার জন্য চরম ডানপন্থিরা দায়ী বলে মন্তব্য করেন৷ তিনি সরকারকে এ সব হামলা প্রতিরোধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
চলতি মাসে শরণার্থীদের থাকার জন্য প্রস্তুত করতে থাকা একটি হলে আগুন ধরানোর দায়ে একজন নব্য-নাৎসিকে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
গত ফেব্রুয়ারিতে বাউটৎসেন এলাকায় যখন একটি আশ্রয় শিবির আগুনে পুড়ছিল তখন কয়েক ডজন ব্যক্তিকে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গেছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)