জার্মানিতে দরিদ্র শিশুদের সুযোগ বাড়ছে
৫ মার্চ ২০১৭২০০২ সালে যতোজন শিশু স্কুলের পড়া শেষ না করে স্কুল ছাড়ত, আজ তাদের সংখ্যা অনেক কম, বলছে ব্যার্টেলসমান ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট৷ স্কুলশেষের ‘‘আবিটুর'' পরীক্ষাতেও পাশ করছে আরো বেশি ছাত্রছাত্রী এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করছে৷
কিন্তু যে সব শিশুদের জার্মান পাসপোর্ট নেই অথবা যাদের পরিবারের আয় কম, তাদের ‘‘আবিটুর'' পাশ করার ও ইউনিভার্সিটিতে যাবার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃতভাবে কম৷
২০০২ সালে সামগ্রিকভাবে স্কুলছাড়া ছেলে-মেয়েদের অনুপাত ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১৪ সালে যা নেমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশে৷ জার্মান নাগরিকত্ব বিহীন ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান নামে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ১ শতাংশে – এক্ষেত্রে হ্রাসের হার কিন্তু জার্মান নাগরিকত্বধারী ছেলে-মেয়েদের তুলনায় কম৷
২০১২ সালে থেকে ব্যার্টেলসমান নিধি এই ‘সমান সুযোগ' রিপোর্টটি পেশ করে আসছে৷ এবারকার রিপোর্ট বলছে যে, ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তথাকথিত ‘‘সারাদিনের স্কুলগুলির'' অনুপাত বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশে৷ এই সারাদিনের স্কুলগুলিতে নাকি শিক্ষকবৃন্দ নিম্ন আয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রী, অথবা যাদের জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে বিশেষ পরিচয় নেই, তাদের প্রতি অধিকতর মনোযোগ দেবার সুযোগ পান৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)